সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীত উপেক্ষা করে গভীর রাতে কম্বল দিলেন জেলা প্রশাসক

গোপালগঞ্জ শহরের শিশুবন এলাকার বাসিন্দা রাশিদা বেগম (৪০)। শীত উপক্ষো করে এসেছিলেন কম্বল নিতে। তার সংসারে রয়েছে স্বামী ও সন্তান। স্বামী দিনমজুর করে যে আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশীম খেতে হয় সেখানে শীতবস্ত্র কেনা তার কাছে আকাশ কুসুম। তবে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কম্বল পেয়ে খুশি তিনি। জেলায় হঠাত করে শীত পড়ায় যে কম্বল পেয়ছে তার দিয়ে অন্তত শীত নিবারণ করতে পারবেন তিনি।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টায় শীত উপেক্ষা করে জেলা শহরের শিশুবন ও সোনাকুড় এলাকার তিন শতাধিত অসহায় ও দু:স্থ পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরন করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। এসব এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব অসহায় ও দু:স্থ পরিবারের হাতে দু’টি করে কম্বল তুলে দেন তিনি। কম্বল বিতরণকালে তিনি এসব পরিবারের খোঁজ খবরও নেন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান শুক্তিসহ প্রশাসনের কমর্কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিশুবন এলাকার বাসিন্দা কুলছুম বেগম বলেন, স্বামী দিন মজুরের কাজ করেন। সংসাবে ছেলে মেয়ে রয়েছে। স্বামী যা আয় করনে তা দিয়ে সাংসার চলে না সেখানে শীতবস্ত্র কিনবো বিভাবে। তবে জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে দুটি কম্বল দিয়েছেন এ দিয়ে শীতের কস্ট কিছুটা লাঘব হবে।

একই এলাকার বাসিন্দা নূর আলম বলেন, আমি দিন মজুরের কাজ করি। যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতে পারি। কিন্তু হঠাত করে শীত পড়ায় খুব কষ্ট হচ্ছিল। এবার কম্বল পেলাম এতে খুব খুশি।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, মানরীয়প্রধানমন্ত্রী সকলের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যাবস্থা করেছেন। তারই অংশ হিসাবে জেলা প্রমাসনের উধ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে। শীতে যাতে কেউ কষ্ট না পায় সেজন্য কম্বল বিতরন অব্যাহত থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

শীত উপেক্ষা করে গভীর রাতে কম্বল দিলেন জেলা প্রশাসক

Update Time : ০১:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

গোপালগঞ্জ শহরের শিশুবন এলাকার বাসিন্দা রাশিদা বেগম (৪০)। শীত উপক্ষো করে এসেছিলেন কম্বল নিতে। তার সংসারে রয়েছে স্বামী ও সন্তান। স্বামী দিনমজুর করে যে আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশীম খেতে হয় সেখানে শীতবস্ত্র কেনা তার কাছে আকাশ কুসুম। তবে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কম্বল পেয়ে খুশি তিনি। জেলায় হঠাত করে শীত পড়ায় যে কম্বল পেয়ছে তার দিয়ে অন্তত শীত নিবারণ করতে পারবেন তিনি।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টায় শীত উপেক্ষা করে জেলা শহরের শিশুবন ও সোনাকুড় এলাকার তিন শতাধিত অসহায় ও দু:স্থ পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরন করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। এসব এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব অসহায় ও দু:স্থ পরিবারের হাতে দু’টি করে কম্বল তুলে দেন তিনি। কম্বল বিতরণকালে তিনি এসব পরিবারের খোঁজ খবরও নেন।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান শুক্তিসহ প্রশাসনের কমর্কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিশুবন এলাকার বাসিন্দা কুলছুম বেগম বলেন, স্বামী দিন মজুরের কাজ করেন। সংসাবে ছেলে মেয়ে রয়েছে। স্বামী যা আয় করনে তা দিয়ে সাংসার চলে না সেখানে শীতবস্ত্র কিনবো বিভাবে। তবে জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে দুটি কম্বল দিয়েছেন এ দিয়ে শীতের কস্ট কিছুটা লাঘব হবে।

একই এলাকার বাসিন্দা নূর আলম বলেন, আমি দিন মজুরের কাজ করি। যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতে পারি। কিন্তু হঠাত করে শীত পড়ায় খুব কষ্ট হচ্ছিল। এবার কম্বল পেলাম এতে খুব খুশি।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, মানরীয়প্রধানমন্ত্রী সকলের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যাবস্থা করেছেন। তারই অংশ হিসাবে জেলা প্রমাসনের উধ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে। শীতে যাতে কেউ কষ্ট না পায় সেজন্য কম্বল বিতরন অব্যাহত থাকবে।