সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্ন্ত, সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস

গোপালগঞ্জে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্ন্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলায় সূয্যের মুখ দেখা যায়নি। জেলার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকে জেলায় দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে তুলেছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টির ফোটার মত পড়ছে কুয়াশা। ফলে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দূর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে চালাচল করছে যানবাহন।

বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে অনেকেই। তবে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। অভাবের তাড়নায় শীত উপেক্ষা বাইরে বের হলেও গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তারা। শীতজতিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে নানান বয়সীরা। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে থাকা শয্যার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও দৈনিক শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ে শিশু বৃদ্ধাসহ প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ শহরের রিক্সাচালক অাবুল শেখ বলেন, হিমেল হাওয়ায় রিক্সা চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শিতের কারনে অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় অনেকটা কমে গেছে।

সদরের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কৃষক অবনি মন্ডল বলেন, তীব্র শিতের কারনে আমরা জমিতে যেতে পারছিনা। বর্তমানে ইরি ধানের সময়, কাজেরও অনেকচাপ। তারপরেও আমরা শিতের কারনে জমিতে যেতে চাচ্ছি না। এদিকে শিতের কানে শ্রমিক ও পাচ্ছি না।

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু সুফিয়ান জানিযেছেন, আরো ২-৩ দিন জেলায় কুয়াশা থাকবে। আগামী সপ্তাহে জেলার তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

গোপালগঞ্জে তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্ন্ত, সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস

Update Time : ০২:২৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

গোপালগঞ্জে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্ন্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলায় সূয্যের মুখ দেখা যায়নি। জেলার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকে জেলায় দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে তুলেছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টির ফোটার মত পড়ছে কুয়াশা। ফলে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দূর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে চালাচল করছে যানবাহন।

বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে অনেকেই। তবে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। অভাবের তাড়নায় শীত উপেক্ষা বাইরে বের হলেও গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তারা। শীতজতিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে নানান বয়সীরা। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে থাকা শয্যার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও দৈনিক শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ে শিশু বৃদ্ধাসহ প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ শহরের রিক্সাচালক অাবুল শেখ বলেন, হিমেল হাওয়ায় রিক্সা চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শিতের কারনে অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় অনেকটা কমে গেছে।

সদরের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কৃষক অবনি মন্ডল বলেন, তীব্র শিতের কারনে আমরা জমিতে যেতে পারছিনা। বর্তমানে ইরি ধানের সময়, কাজেরও অনেকচাপ। তারপরেও আমরা শিতের কারনে জমিতে যেতে চাচ্ছি না। এদিকে শিতের কানে শ্রমিক ও পাচ্ছি না।

গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু সুফিয়ান জানিযেছেন, আরো ২-৩ দিন জেলায় কুয়াশা থাকবে। আগামী সপ্তাহে জেলার তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।