আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহিদ হাসান জীবন গতকাল শুক্রবার সারাদিনব্যাপি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। তার প্রচারণায় অংশ নেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, এনসিপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় সমর্থকরা।
বিকালে ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাপ্রবণ দুর্গম চরাঞ্চলে কয়েকটি গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। পরে স্থানীয় হাট-বাজার, চায়ের দোকান, ব্যবসায়িক কেন্দ্র, কৃষিজমির পাশে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মতামত শোনেন। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এবং যুবক-যুবতীরাও তার এই প্রচারণায় ব্যপক আগ্রহ দেখান।
এসময় তিনি সকলের নিকট সমর্থন, দোয়া ও এনসিপির প্রতীক শাপলা কলি মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে বলেন,
“ফুলছড়ি–সাঘাটা আমার জন্মস্থান, আমার প্রাণের মানুষদের নিয়ে এই এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সুখ–দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে প্রথম কাজ হবে নদীভাঙন রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চাই।”
স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়া, কৃষকদের সহায়তা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরিরও আশ্বাস দেন। গণসংযোগে অংশ নেওয়া দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, জাহিদ হাসান জীবনের প্রচার শুরু হওয়ায় এলাকায় নির্বাচনী উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। গণসংযো কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাট-বাজারে দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তরুণ ভোটারদের মাঝেও দেখা যায় উচ্ছ্বাস।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাহিদ হাসান জীবনের সক্রিয় গণসংযোগ কার্যক্রম আসন্ন নির্বাচনে এনসিপির অবস্থানকে আরও মজবুত করবে। মাঠে-ঘাটে তার নিরলস ঘুরে বেড়ানো ও মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে, যা এই আসনের নির্বাচনী সমীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, জাহিদ হাসান জীবন বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোললের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। জুলাই আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরীসিম। তিনি ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ছালুয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্টাফ রিপোর্টর: 


















