সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ভবন নির্মাণে অনিয়মের তদন্ত অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ি মৌজায় অবস্থিত পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণে বাজেটের অপচয়, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ঠিকাদারি প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অব্যবস্থাপনা ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হয়েছে।

৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে, পলাশবাড়ী উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে অনিয়ম – দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার,সরকারী দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করেন নির্বাহী প্রকৌশলী তত্ত্বাবধায়ক (প্রকৌশলী দপ্তর রংপুর) তাওহীদ ইসলাম।
এ সময়,উপজেলা প্রকৌশলী,স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম কর্মী, অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত শেষে, তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, পলাশবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন নির্মাণের অনিয়ম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।আমি অভিযোগের আংশিক সত্যতা পেয়েছি যা নোট করেছি যা আমি লিখিত আকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো। আশা করি পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি স্থানীয়দের এবং সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (PEDP-4) এর আওতায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে বারংবার প্রতিবাদ জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করেনি। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী হেলাল একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের প্রবল আপত্তির মুখে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই (সোমবার) দুপুরে গোপনে নির্মাণশ্রমিক এনে পুনরায় কাজ শুরু করা হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হেলাল উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন যে, এলাকাবাসী ‘চাঁদা দাবি’ এবং ‘সরকারি কাজে বাধা’ দিচ্ছেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপও কামনা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান,বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজে অনিয়মের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে এবং এলাকাবাসীর উপর আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলেও তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ভবন নির্মাণে অনিয়মের তদন্ত অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৯:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার নুনিয়াগাড়ি মৌজায় অবস্থিত পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণে বাজেটের অপচয়, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, ঠিকাদারি প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অব্যবস্থাপনা ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হয়েছে।

৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে, পলাশবাড়ী উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে অনিয়ম – দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার,সরকারী দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করেন নির্বাহী প্রকৌশলী তত্ত্বাবধায়ক (প্রকৌশলী দপ্তর রংপুর) তাওহীদ ইসলাম।
এ সময়,উপজেলা প্রকৌশলী,স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম কর্মী, অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত শেষে, তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, পলাশবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন নির্মাণের অনিয়ম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।আমি অভিযোগের আংশিক সত্যতা পেয়েছি যা নোট করেছি যা আমি লিখিত আকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো। আশা করি পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি স্থানীয়দের এবং সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (PEDP-4) এর আওতায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে বারংবার প্রতিবাদ জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করেনি। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী হেলাল একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের প্রবল আপত্তির মুখে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই (সোমবার) দুপুরে গোপনে নির্মাণশ্রমিক এনে পুনরায় কাজ শুরু করা হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হেলাল উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন যে, এলাকাবাসী ‘চাঁদা দাবি’ এবং ‘সরকারি কাজে বাধা’ দিচ্ছেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপও কামনা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান,বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজে অনিয়মের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে এবং এলাকাবাসীর উপর আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলেও তিনি জানান।