সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেডের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

উন্নয়নে শিল্পের ছোঁয়া,কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার সমান সুযোগ ও অবহেলিত এ জেলার মানুষের দাবিকে ঘিরেই গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (EPZ) স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১৮ জুলাই (শনিবার) সকালে গানাসাস মার্কেটের সামনে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (EPZ) স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন বাস্তবায়ন মঞ্চ। গাইবান্ধা’র বাস্তবায়ন মঞ্চের সভাপতি এ্যাড. কুশলাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ফারুক কবীরের আহ্বানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী প্রামানিক,রবিদাশ ফোরামের সভাপতি সুনীল রবিদাস ও সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আইনজীবী সহকারী আব্দুল হাই, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সাদেকুল ইসলাম, জিহাদ প্রধান, মানবাধিকার কর্মী কাজি আব্দুল খালেক, সোমা ইসলাম, কাজি আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ। 

এসময় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা আজ উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়া এক ‘পকেট শহর’, যেখানে নেই শিল্প, নেই কর্মসংস্থান, নেই সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার। অথচ এই জনপদের পাশে, সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় যদি ইপিজেড গড়ে ওঠে, তাহলে গোটা উত্তরাঞ্চলের চিত্রই বদলে যাবে। বক্তারা আরও বলেন, গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হাকিম এই এলাকাকে কেন্দ্র করে ইপিজেড গঠনের সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন,গাইবান্ধাবাসী তা আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে এই প্রস্তাব বাতিল করে আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর মত একটি বিরোধপূর্ণ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের চেষ্টা করছে, যা মানবিক ও সুশিল মানুষের আপত্তির মুখে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়—এটা গাইবান্ধার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। এই জনপদের মানুষ উন্নয়নের আলো দেখতে চায়, কাজের সুযোগ চায়, স্বপ্নপূরণের পথ খোঁজে। সেই পথ শুরু হোক সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।

সাঁকোয়া এলাকায় ইপিজেড স্হাপন করা হলে রেলপথ, রাজপথ, নৌপথ, এমনকি হেলিপ্যাডও যেমন রয়েছে নিকটেই তেমনি জেলায় বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে হাজারো মানুষের সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটা,ফুলছড়ি,পলাশবাড়ী,গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। 

সমাবেশ থেকে বক্তারা আরও দাবি জানান— গাইবান্ধা সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় অবিলম্বে ইপিজেড বাস্তবায়ন। বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল/সেতু নির্মাণ।

গাইবান্ধায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান। গ্যাস সংযোগ ও আধুনিক রেল যোগাযোগসহ  জেনারেল  হাসপাতালের দ্রুত আধুনিকীকরণের আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

গাইবান্ধার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেডের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

Update Time : ০২:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

উন্নয়নে শিল্পের ছোঁয়া,কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার সমান সুযোগ ও অবহেলিত এ জেলার মানুষের দাবিকে ঘিরেই গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (EPZ) স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১৮ জুলাই (শনিবার) সকালে গানাসাস মার্কেটের সামনে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড (EPZ) স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন বাস্তবায়ন মঞ্চ। গাইবান্ধা’র বাস্তবায়ন মঞ্চের সভাপতি এ্যাড. কুশলাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ফারুক কবীরের আহ্বানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী প্রামানিক,রবিদাশ ফোরামের সভাপতি সুনীল রবিদাস ও সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আইনজীবী সহকারী আব্দুল হাই, সমাজকর্মী মনির হোসেন সুইট, সাদেকুল ইসলাম, জিহাদ প্রধান, মানবাধিকার কর্মী কাজি আব্দুল খালেক, সোমা ইসলাম, কাজি আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ। 

এসময় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা আজ উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়া এক ‘পকেট শহর’, যেখানে নেই শিল্প, নেই কর্মসংস্থান, নেই সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার। অথচ এই জনপদের পাশে, সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় যদি ইপিজেড গড়ে ওঠে, তাহলে গোটা উত্তরাঞ্চলের চিত্রই বদলে যাবে। বক্তারা আরও বলেন, গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হাকিম এই এলাকাকে কেন্দ্র করে ইপিজেড গঠনের সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন,গাইবান্ধাবাসী তা আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে এই প্রস্তাব বাতিল করে আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর মত একটি বিরোধপূর্ণ এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের চেষ্টা করছে, যা মানবিক ও সুশিল মানুষের আপত্তির মুখে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়—এটা গাইবান্ধার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। এই জনপদের মানুষ উন্নয়নের আলো দেখতে চায়, কাজের সুযোগ চায়, স্বপ্নপূরণের পথ খোঁজে। সেই পথ শুরু হোক সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।

সাঁকোয়া এলাকায় ইপিজেড স্হাপন করা হলে রেলপথ, রাজপথ, নৌপথ, এমনকি হেলিপ্যাডও যেমন রয়েছে নিকটেই তেমনি জেলায় বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে হাজারো মানুষের সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটা,ফুলছড়ি,পলাশবাড়ী,গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। 

সমাবেশ থেকে বক্তারা আরও দাবি জানান— গাইবান্ধা সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় অবিলম্বে ইপিজেড বাস্তবায়ন। বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল/সেতু নির্মাণ।

গাইবান্ধায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান। গ্যাস সংযোগ ও আধুনিক রেল যোগাযোগসহ  জেনারেল  হাসপাতালের দ্রুত আধুনিকীকরণের আহ্বান জানান।