সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্মাণাধীন ভবন যেন মৃত্যুফাঁদ


নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন এক একটি মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠছে ঢাকা নগরীতে। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসেই নির্মাণাধীন ভবন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বিশ থেকে পঁচিশ জন। অধিকাংশ ভবন মালিক নতুন ভবন নির্মাণে শ্রমিক এবং পথচারীদের নিরাপত্তায় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মানছেন না। ফলে নির্মাণাধীন ভবনগুলো শ্রমিক ও পথচারীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া ঢাকা মহা নগরীর বাওয়ানী নগর ,সারুলিয়া ডেমরাতে কাজ করে যাচ্ছেন যৌথালিকানাধীন একটি ভবন ।

২৬ মে । যৌথ মালিকানাধীন একটি ভবন । এখানে ফুটপাতের পাশেই কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছিল নতুন ভবন। সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই নির্মানাধীন কর্মীদের সেফটি বেল্ট, হ্যালমেট, সেফটি পায়ের বুট এমনকি শরীরের কোন সেফটি নেই এবং ভবনটির চারপাশের কোন সেফটির ব্যবস্থা করা হয়নি ।

নগরীর বাওয়ানি,সারুলিয়া ডেমরা । নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিচে পড়ে। সরেজমিনে সাংবাদিকদের টিমের উপর পড়ে অল্পের জন্যপ্রাণে বেঁচে যায় ।

এই ভবনটির মালিক সোলায়মান ।
আর এই ভবনটি যৌথমালিকানাধীনে নির্মাণ করা হচ্ছে । আমরা এই ভবনটির যৌথ মালিকানাধীনের একজন মালিক এর সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা নির্মানাধীন ভবন গুলোর কোন সেফটি নেই তারা এই সম্পর্কই আগে থেকেই অবগত আছেন এবং  তাদের এটা নিজস্ব গাফিলতি এটা প্রমাণ পেয়েছি আমরা এবং তিনি  বলেন রাজউক এর লোকজন প্রতিনিয়ত এসে টাকা নিয়ে যাচ্ছে এবং কিন্তু প্রশ্ন হলো যে রাজউক এসে তাদের অনিয়মের জন্য টাকা খেয়ে ভবনটির অনিয়ম পশ্রয় দিচ্ছেন । তার বক্তব্যটি আমাদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে ।

সব ঘটনায় ভবন নির্মাণের বিধি উপেক্ষিত ছিল। এতে নির্মাণ শ্রমিকরা যেমন অনিরাপদ, তেমনি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে পথচারীদেরও।

বছরে আড়াই হাজার ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়ে থাকে ঢাকা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ভবন নির্মাণে শ্রমিক ও পথচারীদের নিরাপত্তায় ইমারতবিধি অনুযায়ী ভবনের চারদিকে জাল দিয়ে ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে। তবে ভবন নির্মাণ শুরু করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মালিক কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়মের তোয়াক্কা করে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা বড় দুর্ঘটনা।

এই সম্পর্কে আমাদের সাথে কথা হয় রাজউক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চ্যায়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম এর সাথে । তিনি আমাদের বলেন এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর মাধ্যমে দরখাস্ত দিয়ে যেতে তারা তাদের টিম নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এই বলে আমাদের আশ্বাস তিনি দেন ।
এরপর আমরা জোন ৬/১ এর পরিদর্শক এর সাথে কথা বলেন ,তিনি বলেন,
নিয়ম হচ্ছে কোনো ভবনের কাজ শুরু করার আগে মালিকপক্ষ সিডিএকে জানাতে হয় যে তারা ভবনের কাজটা শুরু করছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কাজটা অধিকাংশ ভবন মালিকরা করে না।
এবং বিভিন্ন প্রপার্টিজ গুলো নির্মানাধীন ভবন নির্মাণে কোন নিয়ম মানছে না এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং মালিকের বিরুদ্ধেও একই ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

নির্মাণাধীন ভবন যেন মৃত্যুফাঁদ

Update Time : ০২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫


নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন এক একটি মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠছে ঢাকা নগরীতে। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসেই নির্মাণাধীন ভবন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বিশ থেকে পঁচিশ জন। অধিকাংশ ভবন মালিক নতুন ভবন নির্মাণে শ্রমিক এবং পথচারীদের নিরাপত্তায় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মানছেন না। ফলে নির্মাণাধীন ভবনগুলো শ্রমিক ও পথচারীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া ঢাকা মহা নগরীর বাওয়ানী নগর ,সারুলিয়া ডেমরাতে কাজ করে যাচ্ছেন যৌথালিকানাধীন একটি ভবন ।

২৬ মে । যৌথ মালিকানাধীন একটি ভবন । এখানে ফুটপাতের পাশেই কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছিল নতুন ভবন। সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই নির্মানাধীন কর্মীদের সেফটি বেল্ট, হ্যালমেট, সেফটি পায়ের বুট এমনকি শরীরের কোন সেফটি নেই এবং ভবনটির চারপাশের কোন সেফটির ব্যবস্থা করা হয়নি ।

নগরীর বাওয়ানি,সারুলিয়া ডেমরা । নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিচে পড়ে। সরেজমিনে সাংবাদিকদের টিমের উপর পড়ে অল্পের জন্যপ্রাণে বেঁচে যায় ।

এই ভবনটির মালিক সোলায়মান ।
আর এই ভবনটি যৌথমালিকানাধীনে নির্মাণ করা হচ্ছে । আমরা এই ভবনটির যৌথ মালিকানাধীনের একজন মালিক এর সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা নির্মানাধীন ভবন গুলোর কোন সেফটি নেই তারা এই সম্পর্কই আগে থেকেই অবগত আছেন এবং  তাদের এটা নিজস্ব গাফিলতি এটা প্রমাণ পেয়েছি আমরা এবং তিনি  বলেন রাজউক এর লোকজন প্রতিনিয়ত এসে টাকা নিয়ে যাচ্ছে এবং কিন্তু প্রশ্ন হলো যে রাজউক এসে তাদের অনিয়মের জন্য টাকা খেয়ে ভবনটির অনিয়ম পশ্রয় দিচ্ছেন । তার বক্তব্যটি আমাদের গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে ।

সব ঘটনায় ভবন নির্মাণের বিধি উপেক্ষিত ছিল। এতে নির্মাণ শ্রমিকরা যেমন অনিরাপদ, তেমনি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে পথচারীদেরও।

বছরে আড়াই হাজার ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়ে থাকে ঢাকা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ভবন নির্মাণে শ্রমিক ও পথচারীদের নিরাপত্তায় ইমারতবিধি অনুযায়ী ভবনের চারদিকে জাল দিয়ে ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে। তবে ভবন নির্মাণ শুরু করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মালিক কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়মের তোয়াক্কা করে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা বড় দুর্ঘটনা।

এই সম্পর্কে আমাদের সাথে কথা হয় রাজউক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চ্যায়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম এর সাথে । তিনি আমাদের বলেন এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর মাধ্যমে দরখাস্ত দিয়ে যেতে তারা তাদের টিম নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এই বলে আমাদের আশ্বাস তিনি দেন ।
এরপর আমরা জোন ৬/১ এর পরিদর্শক এর সাথে কথা বলেন ,তিনি বলেন,
নিয়ম হচ্ছে কোনো ভবনের কাজ শুরু করার আগে মালিকপক্ষ সিডিএকে জানাতে হয় যে তারা ভবনের কাজটা শুরু করছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কাজটা অধিকাংশ ভবন মালিকরা করে না।
এবং বিভিন্ন প্রপার্টিজ গুলো নির্মানাধীন ভবন নির্মাণে কোন নিয়ম মানছে না এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং মালিকের বিরুদ্ধেও একই ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।