সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীর এলজিইডি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালের বিরুদ্ধে।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এলজিইডি পলাশবাড়ী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. হযরত আলী গত ১৭ মে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে জানাগেছে,সরকারি অর্থায়নে “রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে”র আওতায় হোসেনপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন অফিস থেকে হরিতলা হাট পর্যন্ত ৮.৪৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সড়ক পাকা করার কাজ অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির আইডি নম্বর ১৩২৬৭৩০০৯।

অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী হেলাল সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে পূর্বনির্ধারিত রুট, প্রকল্প পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য উপেক্ষা করে নিজ সিদ্ধান্তে নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে রাস্তার রুট অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও আটঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা
মো. হাযরত আলী মণ্ডল বলেন, “প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার প্রকৌশলী হেলালকে অনুরোধ করা হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। বরং গোপনে রুট পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা স্থানীয় জনসাধারণের স্বার্থের পরিপন্থী। এতে প্রকৃত উপকারভোগীরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি টাকায় পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমন স্বেচ্ছাচারিতা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে এলজিইডির উচ্চমহলের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”

রুট পরিবর্তন নিয়ে ওই এলাকার আটঘরিয়া ও বাহিরডাঙ্গা গ্রামের লোকজনের মাঝে পরস্পর স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে এলজিইডি গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানান,অনিয়মের কোন সুযোগ নেই, সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী তপন চক্রবর্তীর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি অফিসে দেখা করতে বলেন,
অফিসে গিয়ে দেখা না পাওয়ায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হেলালুর রহমান হেলাল বলেন,অভিযোগ সঠিক নয়।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর যে ভাবে কাজ করবে তার বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

এদিকে, এলাকাবাসী প্রকল্পটি তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।



Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

পলাশবাড়ীর এলজিইডি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উপসহকারী প্রকৌশলী হেলালের বিরুদ্ধে।

Update Time : ০৮:২২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এলজিইডি পলাশবাড়ী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. হযরত আলী গত ১৭ মে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে জানাগেছে,সরকারি অর্থায়নে “রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে”র আওতায় হোসেনপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন অফিস থেকে হরিতলা হাট পর্যন্ত ৮.৪৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সড়ক পাকা করার কাজ অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির আইডি নম্বর ১৩২৬৭৩০০৯।

অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী হেলাল সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে পূর্বনির্ধারিত রুট, প্রকল্প পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য উপেক্ষা করে নিজ সিদ্ধান্তে নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে রাস্তার রুট অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও আটঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা
মো. হাযরত আলী মণ্ডল বলেন, “প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার প্রকৌশলী হেলালকে অনুরোধ করা হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। বরং গোপনে রুট পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা স্থানীয় জনসাধারণের স্বার্থের পরিপন্থী। এতে প্রকৃত উপকারভোগীরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি টাকায় পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমন স্বেচ্ছাচারিতা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে এলজিইডির উচ্চমহলের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”

রুট পরিবর্তন নিয়ে ওই এলাকার আটঘরিয়া ও বাহিরডাঙ্গা গ্রামের লোকজনের মাঝে পরস্পর স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে এলজিইডি গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানান,অনিয়মের কোন সুযোগ নেই, সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী তপন চক্রবর্তীর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি অফিসে দেখা করতে বলেন,
অফিসে গিয়ে দেখা না পাওয়ায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হেলালুর রহমান হেলাল বলেন,অভিযোগ সঠিক নয়।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর যে ভাবে কাজ করবে তার বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

এদিকে, এলাকাবাসী প্রকল্পটি তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।