গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে চর কেটে বালু পরিবহনের দায়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২টি বালুবাহী ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১লা মে) বিকেলে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ (মেরী) এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যৌথ বাহিনীর এই অভিযান পরিচালনা করেন গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার (ডাব্লিউও) রাকিবুল আলম। অভিযানে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলমসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
জানা গেছে, বালুদস্যুরা দীর্ঘদিন ধরে সাপমারা ইউনিয়নের করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে চর কেটে বালু বিক্রি করে আসছে। এসব বালু পরিবহন কাজে প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয়। ফলে ওই এলাকার কাঁচা ও পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বালুদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা ট্রাক্টর চলাচলের বাধা দিয়েও তা বন্ধ করতে পারছে না। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। এসময় যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আগেভাগেই বালুদস্যুরা সটকে পড়লেও ঘটনাস্থল থেকে ২টি বালুবাহী ট্রাক্টর আটক করা হয়। পরে আটক ট্রাক্টর দুইটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, সাপমারা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে তথ্য আদান প্রদানের জন্য একাধিক নিজস্ব লোক (সোর্স) বসিয়ে রাখে বালু উত্তোলন এবং নদীর চর কেটে বালু বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত চক্রটি। এজন্য তাদের পারিশ্রমিকও দেয়া হয়। আশেপাশের এলাকায় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখামাত্র বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা সোর্সরা ঘটনাস্থলে ফোন দিয়ে অভিযানের খবর জানিয়ে দেয়। ফলে অভিযানের আগেই বালুদস্যুরা দ্রুত সটকে পড়ে।
গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নদী থেকে অবৈধভাবে চর কাটা, বালু উত্তোলন ও পরিবহণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার: 











