সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা পৌরসভার প্রকৌশলীর ‘৬ পারসেন্ট’ সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে

গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলামের ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন হলেও রহস্যজনক কারণে এখনও প্রকাশ করা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন। এতে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

সম্প্রতি একটি ফোনালাপে শফিউল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, “আজরাইল আসলেও ৬ পারসেন্ট টাকা না দিয়ে মাফ পাবে না।” তার এই মন্তব্য ঘুষের এক ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভায় কোনো কাজ পেতে হলে নির্ধারিত কমিশন বা ঘুষ দিতে হয়, যা এই প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেন।

শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে এখনও সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। এতে প্রশ্ন উঠছে—তদন্ত প্রতিবেদন গোপন রাখার পেছনে কার স্বার্থ জড়িত?

এই প্রকৌশলি শফিউল ইসলাম অনৈতিক ভাবে নিজেকে টাকার কুমির বানানোর পাশাপাশি ঢাকায় একাধিক ফ্লাট সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে জমি ক্রয় করে রেখেছেন প্রায় শতাধিক বিঘা।

শফিউল ইসলামের এমন মন্তব্য ও তার ঘুষ বাণিজ্যের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই দাবি করছেন, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সেই সাথে গাইবান্ধা পৌরসভার এই দুর্নীতির দায় কে নেবে? তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে, কীভাবে থামবে এই ঘুষের সিন্ডিকেট?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

গাইবান্ধা পৌরসভার প্রকৌশলীর ‘৬ পারসেন্ট’ সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে

Update Time : ০৪:২৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলামের ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন হলেও রহস্যজনক কারণে এখনও প্রকাশ করা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন। এতে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

সম্প্রতি একটি ফোনালাপে শফিউল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, “আজরাইল আসলেও ৬ পারসেন্ট টাকা না দিয়ে মাফ পাবে না।” তার এই মন্তব্য ঘুষের এক ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভায় কোনো কাজ পেতে হলে নির্ধারিত কমিশন বা ঘুষ দিতে হয়, যা এই প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেন।

শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে এখনও সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। এতে প্রশ্ন উঠছে—তদন্ত প্রতিবেদন গোপন রাখার পেছনে কার স্বার্থ জড়িত?

এই প্রকৌশলি শফিউল ইসলাম অনৈতিক ভাবে নিজেকে টাকার কুমির বানানোর পাশাপাশি ঢাকায় একাধিক ফ্লাট সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে জমি ক্রয় করে রেখেছেন প্রায় শতাধিক বিঘা।

শফিউল ইসলামের এমন মন্তব্য ও তার ঘুষ বাণিজ্যের খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই দাবি করছেন, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সেই সাথে গাইবান্ধা পৌরসভার এই দুর্নীতির দায় কে নেবে? তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে, কীভাবে থামবে এই ঘুষের সিন্ডিকেট?