সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্র সংস্কারে ১৮ দফা সুপারিশ নাগরিক পার্লামেন্টের

৫ আগস্ট বিপ্লবী বিজয় দিবস স্মরণে কেমন বাংলাদেশ চাই শীর্ষক উম্মুক্ত আলোচনাসভা থেকে রাষ্ট্র সংস্কারে ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরে নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়ায় এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে এ ১৮ দফার সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।

মাওলানা আমজাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষাবীদ মুহাম্মদ মকবুল হোসেন, উম্মে নকিব, আব্দুল লতিফ, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শিক্ষার্থী ফারদিন, মারুফসহ অন্যরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,দীর্ঘ অপশাসন-দুঃশাসনের কবল থেকে অনেক রক্তক্ষয়ের মধ্যদিয়ে অর্জিত ৫ আগস্টের নির্যাতিত নিপীড়িত ছাত্রজনতার বিজয়ের পর এখন স্বপ্নের দেশ গড়ার পালা।এই অর্জন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

বক্তারা আরো বলেন, করনীয় অনেক, কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ব্যবধান বেড়ে গেলে, এ বিজয় অর্থহীন হয়ে যাবে। আবার, কোনো হিংস্র থাবার খপ্পরে পড়বে এ দেশ। সুতরাং সবাইকে সজাগ থাকা প্রয়োজন।
সকল ভোগান্তিমূলক, নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা দূরীভূত করে এক স্বচ্ছ, জনকল্যাণমুলক, ভোগান্তিবিহীন, জনসন্তোষজনক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরী। কিন্তু এখন পর্যন্ত সর্বজন শ্রদ্ধেয় নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুস ও তার সরকারের উপদেষ্টাদের চোখে পড়ার মতো দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। রাষ্ট্রযন্ত্র বিকল হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে এখন প্রয়োজন মেরামত বা সংস্কার, এই সংস্কারের কথাটি সরকার প্রধান বার বার বললেও সেই সংস্কারে রুপরেখা কী হবে তা তিনি উপস্থাপন করেননি।

অন্যদিকে ছাত্র জনতার বিজয়ের পর দুই মাসেও তেমন কোনো একটা সেক্টরকেও গুছিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

পরে নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংস্কারের রূপরেখা তৈরী, কাজের অগ্রাধিকার নির্ণয়, কমিটিগঠন
করে কার্যক্রম শুরু এবং অগ্রগতির রিপোর্ট জনগণকে জানানোর দাবী জানানো হয়।
একইসাথে শোষণ-বৈষম্যহীন, সন্ত্রাস, মাদক, সহিংসতামুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে রাষ্ট্র সংস্কারে ১৮ দফার সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সীমান্ত রক্ষা, বিগত সরকারের দুর্নীতি, অপকর্ম, হত্যাযজ্ঞ, ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত জনগণের সামনে তুলে ধরা, অপকর্ম পরিচালনাকারী, অপকর্মের অংশীদার, অপকর্মের দোসর সকলকে অতিসত্তর চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, অর্থ পাচারকারী ঋণখেলাপী, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সকলের দেশে-বিদেশের সকল সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রের কোষাগারে জমাসহ ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সংগঠকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

রাষ্ট্র সংস্কারে ১৮ দফা সুপারিশ নাগরিক পার্লামেন্টের

Update Time : ০৯:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

৫ আগস্ট বিপ্লবী বিজয় দিবস স্মরণে কেমন বাংলাদেশ চাই শীর্ষক উম্মুক্ত আলোচনাসভা থেকে রাষ্ট্র সংস্কারে ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরে নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়ায় এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে এ ১৮ দফার সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।

মাওলানা আমজাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষাবীদ মুহাম্মদ মকবুল হোসেন, উম্মে নকিব, আব্দুল লতিফ, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শিক্ষার্থী ফারদিন, মারুফসহ অন্যরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,দীর্ঘ অপশাসন-দুঃশাসনের কবল থেকে অনেক রক্তক্ষয়ের মধ্যদিয়ে অর্জিত ৫ আগস্টের নির্যাতিত নিপীড়িত ছাত্রজনতার বিজয়ের পর এখন স্বপ্নের দেশ গড়ার পালা।এই অর্জন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

বক্তারা আরো বলেন, করনীয় অনেক, কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ব্যবধান বেড়ে গেলে, এ বিজয় অর্থহীন হয়ে যাবে। আবার, কোনো হিংস্র থাবার খপ্পরে পড়বে এ দেশ। সুতরাং সবাইকে সজাগ থাকা প্রয়োজন।
সকল ভোগান্তিমূলক, নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা দূরীভূত করে এক স্বচ্ছ, জনকল্যাণমুলক, ভোগান্তিবিহীন, জনসন্তোষজনক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরী। কিন্তু এখন পর্যন্ত সর্বজন শ্রদ্ধেয় নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুস ও তার সরকারের উপদেষ্টাদের চোখে পড়ার মতো দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। রাষ্ট্রযন্ত্র বিকল হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে এখন প্রয়োজন মেরামত বা সংস্কার, এই সংস্কারের কথাটি সরকার প্রধান বার বার বললেও সেই সংস্কারে রুপরেখা কী হবে তা তিনি উপস্থাপন করেননি।

অন্যদিকে ছাত্র জনতার বিজয়ের পর দুই মাসেও তেমন কোনো একটা সেক্টরকেও গুছিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

পরে নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংস্কারের রূপরেখা তৈরী, কাজের অগ্রাধিকার নির্ণয়, কমিটিগঠন
করে কার্যক্রম শুরু এবং অগ্রগতির রিপোর্ট জনগণকে জানানোর দাবী জানানো হয়।
একইসাথে শোষণ-বৈষম্যহীন, সন্ত্রাস, মাদক, সহিংসতামুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে রাষ্ট্র সংস্কারে ১৮ দফার সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সীমান্ত রক্ষা, বিগত সরকারের দুর্নীতি, অপকর্ম, হত্যাযজ্ঞ, ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত জনগণের সামনে তুলে ধরা, অপকর্ম পরিচালনাকারী, অপকর্মের অংশীদার, অপকর্মের দোসর সকলকে অতিসত্তর চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, অর্থ পাচারকারী ঋণখেলাপী, অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সকলের দেশে-বিদেশের সকল সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রের কোষাগারে জমাসহ ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সংগঠকরা।