সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগাছায় অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

রংপুরের পীরগাছায় এক প্রতিবন্ধীর আবাদি জমি ও মুরগির খামার দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পরপর দুটি মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রতিবন্ধী ও তার পরিবার। মামলা দুটি আদালতে চলমান। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দখলদার বারবার জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রতিবন্ধী হুমায়ারা ও তার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া (ছোট পানসিয়া) গ্রামের হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী মেয়ে হুমায়ারা খাতুন ও তার ভাই হাবিব সরকার মিলে একই গ্রামের জয়ের প্রামানিকের ছেলে জোনাব আলী ওরফে জোলাই প্রামানিকের নিকট থেকে মোট ১৫ শতক জমি দলিল এবং রেকর্ড মূলে ক্রয় করে।
অপরদিকে একই গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ সরকার ওই জমি দাবি করে রংপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রতিবন্ধী হুমায়ারা খাতুন ও তার আপন ভাই হাবিব সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-অন্য-১৮৪/২৩। এছাড়াও পীরগাছা থানায় প্রতিবন্ধী হুমায়রা খাতুনের বাবা হেলাল উদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে বর্তমান মাসের ৪ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩, জিআর নং-১৮৯/২৪।
এদিকে আব্দুল লতিফ সরকার প্রভাবশালী হওয়ায় ও স্থানীয় একটি মহলের চাপে অসহায় পরিবারটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভাব অনটনের মধ্যে অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় ও হুমায়রার প্রতিবন্ধী ভাতায় চলে তাদের সংসার। বেঁচে থাকার মতো অবলম্বন হিসেবে বসতভিটা ও ক্রয়কৃত ১৫ শতক জমি ছাড়া আর কিছু নেই। সেটিও ভুয়া দাবি করে আদালতে হয়রানীমুলক মামলা দেন লতিফ সরকার। প্রায় ১১ মাস ধরে মামলায় ঝুলছে অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারটি। লতিফ সরকার তার লোকজন নিয়ে বারবার ওই আবাদি জমি ও মুরগির খামার ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা করেন।
এব্যাপারে মামলার বাদি লতিফ সরকার জানান, আমি কোন হয়রানিমূলক মামলা করি নাই। এবিষয়ে পীরগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান বলেন, আব্দুল লতিফ সরকার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আর আদালতে মামলা চলমান রয়েছে যার সঠিক কাগজপত্র আছে তারাই জমি পাবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

পীরগাছায় অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

Update Time : ১১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরের পীরগাছায় এক প্রতিবন্ধীর আবাদি জমি ও মুরগির খামার দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পরপর দুটি মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রতিবন্ধী ও তার পরিবার। মামলা দুটি আদালতে চলমান। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দখলদার বারবার জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রতিবন্ধী হুমায়ারা ও তার পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া (ছোট পানসিয়া) গ্রামের হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী মেয়ে হুমায়ারা খাতুন ও তার ভাই হাবিব সরকার মিলে একই গ্রামের জয়ের প্রামানিকের ছেলে জোনাব আলী ওরফে জোলাই প্রামানিকের নিকট থেকে মোট ১৫ শতক জমি দলিল এবং রেকর্ড মূলে ক্রয় করে।
অপরদিকে একই গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ সরকার ওই জমি দাবি করে রংপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে প্রতিবন্ধী হুমায়ারা খাতুন ও তার আপন ভাই হাবিব সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-অন্য-১৮৪/২৩। এছাড়াও পীরগাছা থানায় প্রতিবন্ধী হুমায়রা খাতুনের বাবা হেলাল উদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে বর্তমান মাসের ৪ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩, জিআর নং-১৮৯/২৪।
এদিকে আব্দুল লতিফ সরকার প্রভাবশালী হওয়ায় ও স্থানীয় একটি মহলের চাপে অসহায় পরিবারটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভাব অনটনের মধ্যে অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় ও হুমায়রার প্রতিবন্ধী ভাতায় চলে তাদের সংসার। বেঁচে থাকার মতো অবলম্বন হিসেবে বসতভিটা ও ক্রয়কৃত ১৫ শতক জমি ছাড়া আর কিছু নেই। সেটিও ভুয়া দাবি করে আদালতে হয়রানীমুলক মামলা দেন লতিফ সরকার। প্রায় ১১ মাস ধরে মামলায় ঝুলছে অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারটি। লতিফ সরকার তার লোকজন নিয়ে বারবার ওই আবাদি জমি ও মুরগির খামার ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা করেন।
এব্যাপারে মামলার বাদি লতিফ সরকার জানান, আমি কোন হয়রানিমূলক মামলা করি নাই। এবিষয়ে পীরগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান বলেন, আব্দুল লতিফ সরকার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আর আদালতে মামলা চলমান রয়েছে যার সঠিক কাগজপত্র আছে তারাই জমি পাবেন।