সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে

দুদকের মামলায় হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে সিলেটে সাব-রেজিস্ট্রার থাকাকালীন ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বলেন, ‘২০২০ সালে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার এলাকাধীন একটি কোম্পানির নামে থাকা ১৫ একর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেন তিনি। একইসঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ১২টি দলিল রেজিস্ট্রেশনও করে দেন তিনি। এ ঘটনায় সরকার ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’

পরে এ ঘটনায় কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজারুল আলম চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ২২ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় দলিলদাতাকে প্রধান ও সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে ২ নম্বর আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে
স্বর্ণপাচার মামলায় চুয়াডাঙ্গায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলার পর আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।

পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন নিলেও পারভিনসহ বাকি ১৮ জন আসামি পলাতক ছিলেন।

বুধবার সাব-রেজিস্ট্রার পারভীন আক্তার আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে সিলেট আদালতে আত্মসমর্পণ না করে নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার পদে অফিস করছিলেন পারভিন আক্তার। তিনি হাটহাজারীতে অফিস করেছেন বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন কয়েকজন দলিল লেখক। বিষয়টি জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করে তারা বলেন, দুদকের মামলা কিংবা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি জানা ছিল না।

এদিকে সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে থাকায় হাটহাজারীর রেজিস্ট্রি অফিসে ভূমি রেজিস্ট্রিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ভূমি মালিকরা।

(সুত্রঃকালবেলা)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে

Update Time : ০৮:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

দুদকের মামলায় হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে সিলেটে সাব-রেজিস্ট্রার থাকাকালীন ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বলেন, ‘২০২০ সালে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার এলাকাধীন একটি কোম্পানির নামে থাকা ১৫ একর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেন তিনি। একইসঙ্গে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ১২টি দলিল রেজিস্ট্রেশনও করে দেন তিনি। এ ঘটনায় সরকার ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’

পরে এ ঘটনায় কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজারুল আলম চৌধুরী ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ২২ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় দলিলদাতাকে প্রধান ও সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে ২ নম্বর আসামি করে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

হাটহাজারীর সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে
স্বর্ণপাচার মামলায় চুয়াডাঙ্গায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলার পর আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।

পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন নিলেও পারভিনসহ বাকি ১৮ জন আসামি পলাতক ছিলেন।

বুধবার সাব-রেজিস্ট্রার পারভীন আক্তার আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে সিলেট আদালতে আত্মসমর্পণ না করে নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার পদে অফিস করছিলেন পারভিন আক্তার। তিনি হাটহাজারীতে অফিস করেছেন বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন কয়েকজন দলিল লেখক। বিষয়টি জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করে তারা বলেন, দুদকের মামলা কিংবা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি জানা ছিল না।

এদিকে সাব-রেজিস্ট্রার কারাগারে থাকায় হাটহাজারীর রেজিস্ট্রি অফিসে ভূমি রেজিস্ট্রিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ভূমি মালিকরা।

(সুত্রঃকালবেলা)