সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে দুই ধর্ষক আটক

এক যুবকের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক স্কুল ছাত্রীর। প্রেমিকের সাথে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে দেখা করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীটি। প্রেমিক ও তার এক বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করে ওই কিশোরী।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় এলাকায়। শুধু মোবাইল নম্বর ছাড়া প্রেমিকের আর কোন তথ্য দিতে পারেনি ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী।পরে পুলিশ মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে শামীম ফকির ওরফে হাসান ও রাতে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বিকে আটক করে।পরে ধর্ষকদের সনাক্ত করে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর সাথে এক মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার শামিম ফকির নামে এক যুবকের। শামিম ফকির নিজেকে ওই তরুনীর কাছে নিজের নাম হাসান বলে পরিচয় দেয়।কথার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এরপরে শনিবার বিকেলে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে দেখা করার কথা বলে শামিম ফকির ওরফে হাসান। পরে মেয়েটি দেখা করতে গেলে তাকে জোর করে রাজৈর উপজেলার সাখারপাড় ব্রীজ এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় । সে সময় হাসানের সাথে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বি নামে তার এক বন্ধু ছিল।পরে ওই কিশোরীকে ব্রীজের পাশে একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে হাসান ও তার বন্ধু রাব্বি।পরবর্তীতে মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক।
স্থানীয়দের মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের স্বজনরা তাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী মোবাইল নাম্বার ছাড়া ধর্ষকদের আর কোন তথ্য দিতে পারেনি। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে শামিম হোসেন ফকির (২৪) ও রাতে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বিকে আটক করে পুলিশ। শামীম রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার এসকান্দার ফকিরের ছেলে ও ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বি একই এলাকার পাট্টু মোল্লার ছেলে।
ভুক্তভোগীর ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়েকে হাসান ও রাব্বি নামে দুটি ছেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করেছে। পুলিশ দিনের মধ্যেই তাদের আটক করেছে। তার মেয়ের সাথে এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসি চান তিনি। যাতে এমন কেউ ঘটাতে সাহস না পায়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুবায়েত ইবনে হাবীব বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেই ওদের আটক করতে মাঠে নামে পুলিশ। এক দিনের মধ্যেই দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত শামিম ফকির(হাসান) ও ইয়াসিন মোল্লা(রাব্বি) কে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে দুই ধর্ষক আটক

Update Time : ০৭:৫৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
এক যুবকের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক স্কুল ছাত্রীর। প্রেমিকের সাথে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে দেখা করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীটি। প্রেমিক ও তার এক বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করে ওই কিশোরী।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় এলাকায়। শুধু মোবাইল নম্বর ছাড়া প্রেমিকের আর কোন তথ্য দিতে পারেনি ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী।পরে পুলিশ মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে শামীম ফকির ওরফে হাসান ও রাতে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বিকে আটক করে।পরে ধর্ষকদের সনাক্ত করে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর সাথে এক মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার শামিম ফকির নামে এক যুবকের। শামিম ফকির নিজেকে ওই তরুনীর কাছে নিজের নাম হাসান বলে পরিচয় দেয়।কথার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এরপরে শনিবার বিকেলে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে দেখা করার কথা বলে শামিম ফকির ওরফে হাসান। পরে মেয়েটি দেখা করতে গেলে তাকে জোর করে রাজৈর উপজেলার সাখারপাড় ব্রীজ এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় । সে সময় হাসানের সাথে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বি নামে তার এক বন্ধু ছিল।পরে ওই কিশোরীকে ব্রীজের পাশে একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে হাসান ও তার বন্ধু রাব্বি।পরবর্তীতে মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক।
স্থানীয়দের মাধ্যমে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের স্বজনরা তাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী মোবাইল নাম্বার ছাড়া ধর্ষকদের আর কোন তথ্য দিতে পারেনি। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে শামিম হোসেন ফকির (২৪) ও রাতে ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বিকে আটক করে পুলিশ। শামীম রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার এসকান্দার ফকিরের ছেলে ও ইয়াসিন মোল্লা ওরফে রাব্বি একই এলাকার পাট্টু মোল্লার ছেলে।
ভুক্তভোগীর ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়েকে হাসান ও রাব্বি নামে দুটি ছেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করেছে। পুলিশ দিনের মধ্যেই তাদের আটক করেছে। তার মেয়ের সাথে এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসি চান তিনি। যাতে এমন কেউ ঘটাতে সাহস না পায়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুবায়েত ইবনে হাবীব বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তার আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা রিপোর্ট আসলে বলা যাবে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেই ওদের আটক করতে মাঠে নামে পুলিশ। এক দিনের মধ্যেই দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত শামিম ফকির(হাসান) ও ইয়াসিন মোল্লা(রাব্বি) কে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।