সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় প্রেমের টানে মেম্বারের স্ত্রী দেবরের সাথে উধাও

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুদ রানার স্ত্রী মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনা প্রেম টানে মিলন মিয়া নামের এক যুবকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ এক লাখ ষাট হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণের গহনা, কিছু কাপড়চোপড় ও একশত টাকা মূল্যের তিন খানা নন- জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প( যাতে মাসুদ মেম্বারের স্বাক্ষরিত) নিয়ে গেছেন তিনি।

এদিকে দেবরের হাত ধরে ভাবির উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়,খারজানি গ্রামের মোঃ মাসুদ রানার স্ত্রী মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কুন্দের পাড়া গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মিলন মিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্কে তারা দেবর ভাবি।গত ১২ নভেম্বর শনিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যান মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায় দেবর মিলন মিয়ার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন রিনা ।

স্থানীয়রা জানান,মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনা প্রথম সন্তান অর্থাৎ মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা বিনতে মাসুদকে নিয়েই পালিয়ে যান।
এর আগেও তিনি অন্য স্বামী ও দুজন সন্তান রেখেই প্রেমের টানে মাসুদের কাছে আসেন।

বিষয়টি স্বীকার করে মাসুদ রানা বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথাবার্তার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই সুবাদে সে প্রেমের টানেই গোপালগঞ্জ থেকে আমার কাছে আসলে আমি তাকে বিয়ে করি।
পরে জানতে পারি তার আগের স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। তবুও আমি সব মেনে নিয়েই এতোদিন ঘর সংসার করে আসছিলাম। তবে তিনি যে আমাকে এভাবে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণা করে চলে যাবেন এটি আমার জানা ছিল না। সে আমার টাকা পয়সা, সোনার গহনা ও তিনটি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প যাহাতে আমার সহি আছে, সেগুলো নিয়ে গেছেন। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি।
আমরা লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না।

এঘটনায় মোঃ মাসুদ রানা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার এসআই মোঃ সাইবুদ্দিন বলেন, মাসুদ মেম্বারের তার স্ত্রী সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

গাইবান্ধায় প্রেমের টানে মেম্বারের স্ত্রী দেবরের সাথে উধাও

Update Time : ০৯:৫৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় কামারজানী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুদ রানার স্ত্রী মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনা প্রেম টানে মিলন মিয়া নামের এক যুবকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ এক লাখ ষাট হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণের গহনা, কিছু কাপড়চোপড় ও একশত টাকা মূল্যের তিন খানা নন- জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প( যাতে মাসুদ মেম্বারের স্বাক্ষরিত) নিয়ে গেছেন তিনি।

এদিকে দেবরের হাত ধরে ভাবির উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়,খারজানি গ্রামের মোঃ মাসুদ রানার স্ত্রী মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কুন্দের পাড়া গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ মিলন মিয়ার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্কে তারা দেবর ভাবি।গত ১২ নভেম্বর শনিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যান মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায় দেবর মিলন মিয়ার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন রিনা ।

স্থানীয়রা জানান,মোছাঃ রিনা আক্তার তহমিনা প্রথম সন্তান অর্থাৎ মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা বিনতে মাসুদকে নিয়েই পালিয়ে যান।
এর আগেও তিনি অন্য স্বামী ও দুজন সন্তান রেখেই প্রেমের টানে মাসুদের কাছে আসেন।

বিষয়টি স্বীকার করে মাসুদ রানা বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথাবার্তার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই সুবাদে সে প্রেমের টানেই গোপালগঞ্জ থেকে আমার কাছে আসলে আমি তাকে বিয়ে করি।
পরে জানতে পারি তার আগের স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। তবুও আমি সব মেনে নিয়েই এতোদিন ঘর সংসার করে আসছিলাম। তবে তিনি যে আমাকে এভাবে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণা করে চলে যাবেন এটি আমার জানা ছিল না। সে আমার টাকা পয়সা, সোনার গহনা ও তিনটি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প যাহাতে আমার সহি আছে, সেগুলো নিয়ে গেছেন। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি।
আমরা লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না।

এঘটনায় মোঃ মাসুদ রানা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার এসআই মোঃ সাইবুদ্দিন বলেন, মাসুদ মেম্বারের তার স্ত্রী সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।