সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২২ পালিত

”কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র,শান্তি শৃঙ্খলা সবর্ত্র” এই প্রতিপাদ্যে কমিউনিটি পুলিশিং ডে- ২০২২ উপলক্ষে গাইবান্ধায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

গাইবান্ধা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র আয়োজনে ও জেলা পুলিশের সহযোগীতায় ২৯ অক্টোবর সকালে প্রতিবছরের ন্যায় যাকজমক পূর্নভাবে জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

পরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাইবান্ধা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র আহবায়ক এম,আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন- পুলিশ ও জনগণের মেইল বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে এই কমিউনিটি পুলিশিং ডে। সামাজিক অপরাধ দূর করার প্রচেষ্টার ধারনা থেকে এই কমিউনিটি পুলিশের সূচনা। ২০০৯/১০ সালে আইজিপি শহিদুল হক যখন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন তখন কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয় ও তা দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আইনগত সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। সাধারণ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে। তাদের সকল কার্যক্রম চালাতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সমাজের যারা গুণীজন, ভালো চিন্তা করে সমাজকে পরিবর্তন করতে চায়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সে বিশিষ্ট জনকে নিয়ে পুলিশ যখন কাজ করবে তখন সামাজিক অপরাধগুলো দূর হবে। তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি পুলিশিং কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের সম্বন্ধে মানুষের নীতিবাচক ধারনা দূর করতে হবে। আপনারা যারা কমিটির নতুন সদস্য ও সদস্য রয়েছেন তারা কাজ করবেন। আপনারা পুলিশের সমন্ধে মানুষের ভয় দূর করবেন। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন সেটাই প্রত্যাশা।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র সদস্য সচিব ও জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব,

গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ ইবনে মিজান,জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতাপ ঘোষ,অধ্যাপক মাযহারউল মান্নান,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধা জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কবির বাদল, কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সাঘাটার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মন্ডলসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন-কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে মানুষ আলোকিত হবে।সকল মানুষ যেনো পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে।

পরে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ মুক্তিযোদ্ধা ও এক এস আইকে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

গাইবান্ধায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২২ পালিত

Update Time : ০৫:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

”কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র,শান্তি শৃঙ্খলা সবর্ত্র” এই প্রতিপাদ্যে কমিউনিটি পুলিশিং ডে- ২০২২ উপলক্ষে গাইবান্ধায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

গাইবান্ধা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র আয়োজনে ও জেলা পুলিশের সহযোগীতায় ২৯ অক্টোবর সকালে প্রতিবছরের ন্যায় যাকজমক পূর্নভাবে জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

পরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাইবান্ধা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র আহবায়ক এম,আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন- পুলিশ ও জনগণের মেইল বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে এই কমিউনিটি পুলিশিং ডে। সামাজিক অপরাধ দূর করার প্রচেষ্টার ধারনা থেকে এই কমিউনিটি পুলিশের সূচনা। ২০০৯/১০ সালে আইজিপি শহিদুল হক যখন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন তখন কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয় ও তা দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আইনগত সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। সাধারণ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে। তাদের সকল কার্যক্রম চালাতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সমাজের যারা গুণীজন, ভালো চিন্তা করে সমাজকে পরিবর্তন করতে চায়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। সে বিশিষ্ট জনকে নিয়ে পুলিশ যখন কাজ করবে তখন সামাজিক অপরাধগুলো দূর হবে। তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি পুলিশিং কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের সম্বন্ধে মানুষের নীতিবাচক ধারনা দূর করতে হবে। আপনারা যারা কমিটির নতুন সদস্য ও সদস্য রয়েছেন তারা কাজ করবেন। আপনারা পুলিশের সমন্ধে মানুষের ভয় দূর করবেন। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন সেটাই প্রত্যাশা।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র সদস্য সচিব ও জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব,

গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ ইবনে মিজান,জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি’র সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতাপ ঘোষ,অধ্যাপক মাযহারউল মান্নান,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গাইবান্ধা জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কবির বাদল, কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সাঘাটার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মন্ডলসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন-কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে মানুষ আলোকিত হবে।সকল মানুষ যেনো পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করে।

পরে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ মুক্তিযোদ্ধা ও এক এস আইকে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।