সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তি রক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তি রক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আটজন। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম সবুজ মিয়া(২৫)। নিহত সবুজ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হাবিবুল আকন্দের ছেলে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের চাচাতো ভাই ফুয়াদ ও পারভেজ জানায়, ২ বছর বয়সে সবুজের বাবা মারা যায় তারপর সে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। আর্থিক সংকটের কারনে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এক চাচার মাধ্যমে বগুড়া সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে চাকরি পায়। প্রথমে ধোপা পদে যোগদান করেন পরে পদন্নোতি পেয়ে লন্ড্রি কর্মচারী হন। গতকাল রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে সেখানে কর্মরত সেনাবাহিনীর এক সদস্য সবুজের নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেন ।
সে ৭ নভেম্বর ১ মাস ৭ দিন আগে সুদানে শান্তি রক্ষা মিশনে যায়। তার আশা ছিল মিশন থেকে এসে অর্থনৈতিক স্বচ্ছল হলে বাড়ি ঘর করবে সেটাও তার বন্ধ হয়ে গেলো । এখান থেকে তার সব স্বপ্ন সমাপ্ত হয়ে গেলো ।
নিহতের চাচা মোঃ বদিরুজ্জামান জানান, নিহত তার চাকরির বেতন দিয়ে পুরো পরিবার কে চালাতেন। এখন তো সে আর নেই তাহলে কিভাবে চলবে পরিবারটি। তিনি লাশটি দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর সহ নিহতের পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
নিহতের স্ত্রী নুপুর খাতুন জানান, আমি শুনে কখনোই ভাবিনী এরকম একটা ঘটনা ঘটবে কেউ কল্পনাই করেনী। আমাদের বিয়ের বয়স মাত্র বছর খানেক হলো । আমাদের দুজনের অনেক স্বপ্ন ছিল ভবিষ্যতে অনেক কিছু করবো, অনেক জায়গায় যাবো, ছেলে মেয়ে নিবো। কিছুই হলো না সব এক নিমিশেই সব শেষ হয়ে গেলো।
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়।
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: 


















