সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীতে ৯ বছরের শিশুকে নিপীড়নের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কাতুলি গ্রামে ৯ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় শিশুটিকে কৌশলে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়ে নিপীড়নের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশু স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে(ব্র্যাক স্কুল) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে এবং তার নানা খাদেম এর বাড়িতে অবস্থান করছিল। ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং দুই দিন পর পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর তার মা রাশিদা বেগম অন্য এলাকা থেকে এসে বিস্তারিত জানতে পারেন।

সোমবার (২ জুন) স্থানীয়ভাবে গোপনে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হলেও বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামের ছেলে সাফি (১৮) ও তারা মিয়ার ছেলে রব্বানী(২০) নামের দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরিবারের পক্ষ থেকে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও স্থানীয়ভাবে একটি প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠে, যারা চিকিৎসা ও মামলা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আরো অভিযোগ উঠেছে সোমবার (২জুন) রাতভর দেন-দরবার হয়।

পরবরর্তীতে মঙ্গলবার (৩ জুন) আটককৃতদের প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে পাঠানো হয়।এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ দানা বেধেছে।

বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির মা রাশিদা বেগম জানিয়েছে,তারা নিরাপত্তা ঝুকিতে আছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি উঠেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

পলাশবাড়ীতে ৯ বছরের শিশুকে নিপীড়নের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

Update Time : ০৮:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কাতুলি গ্রামে ৯ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় শিশুটিকে কৌশলে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়ে নিপীড়নের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশু স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে(ব্র্যাক স্কুল) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে এবং তার নানা খাদেম এর বাড়িতে অবস্থান করছিল। ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং দুই দিন পর পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর তার মা রাশিদা বেগম অন্য এলাকা থেকে এসে বিস্তারিত জানতে পারেন।

সোমবার (২ জুন) স্থানীয়ভাবে গোপনে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হলেও বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলামের ছেলে সাফি (১৮) ও তারা মিয়ার ছেলে রব্বানী(২০) নামের দুই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরিবারের পক্ষ থেকে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও স্থানীয়ভাবে একটি প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠে, যারা চিকিৎসা ও মামলা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আরো অভিযোগ উঠেছে সোমবার (২জুন) রাতভর দেন-দরবার হয়।

পরবরর্তীতে মঙ্গলবার (৩ জুন) আটককৃতদের প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে পাঠানো হয়।এ ব্যাপারে থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ দানা বেধেছে।

বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির মা রাশিদা বেগম জানিয়েছে,তারা নিরাপত্তা ঝুকিতে আছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি উঠেছে।