সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে নিখোঁজের ৯দিন পর স্কুল ছাত্র কাফির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার।

নিখোঁজের ৯ দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি শিশুটিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরের পাড়ের ঝোপঝারের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

স্কুলছাত্র কাফি ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের কোন সন্ধ্যান পাননি। শনিবার দুপুর দুইটায় শ্যাওলাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের ধারনা তাকে হত্যার পর লাশ পুকুরের পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপেন্দ্রনাথ সিংহ জানান, যেহেতু শিশুটির লাশ গলে-পচে গেছে, তাই কিভাবে মারা গেছে বোঝা যাচ্ছেনা। ময়নাতন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

জয়পুরহাটে নিখোঁজের ৯দিন পর স্কুল ছাত্র কাফির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার।

Update Time : ০৮:৪০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

নিখোঁজের ৯ দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুর দুইটার দিকে ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি শিশুটিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরের পাড়ের ঝোপঝারের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

স্কুলছাত্র কাফি ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের কোন সন্ধ্যান পাননি। শনিবার দুপুর দুইটায় শ্যাওলাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের ধারনা তাকে হত্যার পর লাশ পুকুরের পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপেন্দ্রনাথ সিংহ জানান, যেহেতু শিশুটির লাশ গলে-পচে গেছে, তাই কিভাবে মারা গেছে বোঝা যাচ্ছেনা। ময়নাতন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।