হাইকোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অজ্ঞাত কারনে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিতে এসে পলাশবাড়ীতে লোক দেখানো অভিযান করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
রবিবার(০৯ মার্চ)গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ এলাকার পশ্চিম গোগিনাথপুর এম এম বি ব্রিকস নামক অবৈধ ইট ভাটা ভেঙ্গে দিতে এসে বাধার সম্মুখিন হয আভিযানিক দলটি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলাউদ্দিন ভুইয়া এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শের আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
তবে অভিযোগ রয়েছে অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আইনগত ভাবে শক্ত অবস্থানে থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শের আলম অজ্ঞাত কারনে স্থানীয়দের দোহাই দিয়ে লোক দেখানো অভিযান সম্পন্ন করেন।
তবে ভাটা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত ভেকু ড্রাইভারের সাথে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাটা না ভাঙ্গার কথা বলার সময় পরিদর্শক শের আলমকেও সমঝোতা মুলক কথোপকথন করতে দেখা যায়।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শের আলমের কাছে এবিষযে জানতে চাইলে তিনি দায় সারা ভাবে স্থানীয়দের চাপ এবং লজিষ্টিক সার্পোট কম থাকার অজুহাত দেখান। অথচ পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহীনির একটি দল ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিল।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আলাউদ্দিন ভুইয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,মহামান্য হাই কোর্টের আদেশের উর্দ্ধে আমরা কেউ না, তবে পরিবেশ কর্মকর্তা কেন লজিস্টিক সার্পোট না থাকার কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে সেটি বোধ গম্য নয়।
গাইবান্ধা জেলা গার্ডিয়ান অব ক্লাইমেট এ্যাকশনের সভপতি মো: মারুফ মিয়া জানান, অবৈধ সকল ইট ভাটা তো অপসারন করতেই হবে, তবে দ্রুত বিদ্যালয় এবং লোকালয় সংলগ্ন সকল ইট ভাটা অপসরনের দাবিও জানান তিনি।
এদিকে দেশের সকল অবৈধ ইট ভাটা গুড়িয়ে দিতে মহমান্য হাই কোর্টের আদেশ থাাকা সত্বেও মানবিক কারনে গত দু মাসে এসব ইট ভাটা মালিকদের সময় প্রদান করলেও তারা তা না মেনে উল্টো এসবের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে।
উল্লেখ্যঃ সম্প্রতি পলাশবাড়ী উপজেলাসহ জেলার ৫২ টি ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসটিআই।