সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যমান পূর্বাভাস ব্যবস্থার ঘাটতি চিহ্নিতকরণে পরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

গাইবান্ধার প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান বহুমাত্রিক-ঝুঁকির পূর্বাভাস ব্যবস্থার (MHEWS) ঘাটতিগুলো চিহ্নিত ও সমাধানে পরামর্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এসকেএস ফাউন্ডেশন বাস্তবায়িত Child-Centered Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের অধীনে ২৭ নভেম্বর ২০২৪, এসকেএস ইন, গাইবান্ধায় দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মূলত দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজতর উপায়ে পৌঁছানোর বিষয়ে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের পরামর্শ ও সহযোগিতা চেয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার –এর উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন, রাইমস (RIMES), এসকেএস ফাউন্ডেশন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা শিক্ষা দপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনজিও, আইএনজিও এবং জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি নেতা, সাংবাদিকসহ প্রায় ৬০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ আধুনিক প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবহাওয়া ও দুর্যোগের পূর্বাভাস জানানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, অনেক সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পূর্বাভাসের তথ্যগুলো গুরুত্ব সহকারে নেন না। তাই এই বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক কাজ করার প্রয়োজন। বর্তমান ব্যবস্থায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিছু মানুষের কাছে পূর্বাভাস পৌঁছায়, কিন্তু তা সঠিকভাবে প্রচার হয় কিনা তা যাচাই করা জরুরি। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

কর্মশালায় কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচারব্যবস্থা: একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় মাধ্যম থেকে সঠিক তথ্য প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ।
জনসমাবেশ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের ব্যবহার: মসজিদ, মন্দিরসহ জনসমাগম স্থানে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মাধ্যমে পূর্বাভাস জানানো।স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার: দুর্যোগকালে মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকলে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেওয়া।ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের তালিকা: ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি বা পরিবার চিহ্নিত করে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমস্যাসমূহ সমাধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে পূর্বাভাস ব্যবস্থা কার্যকর হবে এবং ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

বিদ্যমান পূর্বাভাস ব্যবস্থার ঘাটতি চিহ্নিতকরণে পরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

Update Time : ১২:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধার প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান বহুমাত্রিক-ঝুঁকির পূর্বাভাস ব্যবস্থার (MHEWS) ঘাটতিগুলো চিহ্নিত ও সমাধানে পরামর্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এসকেএস ফাউন্ডেশন বাস্তবায়িত Child-Centered Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের অধীনে ২৭ নভেম্বর ২০২৪, এসকেএস ইন, গাইবান্ধায় দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মূলত দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজতর উপায়ে পৌঁছানোর বিষয়ে সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের পরামর্শ ও সহযোগিতা চেয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার –এর উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন, রাইমস (RIMES), এসকেএস ফাউন্ডেশন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা শিক্ষা দপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এনজিও, আইএনজিও এবং জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি নেতা, সাংবাদিকসহ প্রায় ৬০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ আধুনিক প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবহাওয়া ও দুর্যোগের পূর্বাভাস জানানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, অনেক সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পূর্বাভাসের তথ্যগুলো গুরুত্ব সহকারে নেন না। তাই এই বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক কাজ করার প্রয়োজন। বর্তমান ব্যবস্থায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিছু মানুষের কাছে পূর্বাভাস পৌঁছায়, কিন্তু তা সঠিকভাবে প্রচার হয় কিনা তা যাচাই করা জরুরি। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

কর্মশালায় কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচারব্যবস্থা: একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় মাধ্যম থেকে সঠিক তথ্য প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ।
জনসমাবেশ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের ব্যবহার: মসজিদ, মন্দিরসহ জনসমাগম স্থানে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মাধ্যমে পূর্বাভাস জানানো।স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার: দুর্যোগকালে মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকলে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেওয়া।ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের তালিকা: ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি বা পরিবার চিহ্নিত করে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমস্যাসমূহ সমাধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে পূর্বাভাস ব্যবস্থা কার্যকর হবে এবং ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।