সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীতে মাছ কেটে সংসার চলে আলিফের

মাছ কেটে সংসার চলে আলিফের,সে ‘মাছ কাটে প্রায় ৪ বছর যাবৎ। ছোট থেকে এই পেশায় থাকায় এখন অভ্যাস হয়ে গেছে তার। এটাই তার রুটি-রুজি। দিনে যে ৫/৬’শ টাকা দেয় মহাজন,সেটা দিয়েই সংসার চালাই।’

২৩শে নভেম্বর শনিবার দুপুরে পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আলিফ (১৮)’র সাথে কথা হয় মাছ কেটে জীবন-জীবিকা নির্বাহের বিষয়ে। চার বছর থেকে মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করছে সে।

সবচেয়ে বড় ও পরিচিত মাছের বাজার পলাশবাড়ীর পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজার। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা করা ব্যক্তিদের যাতায়াতে ব্যস্ত থাকে বাজারটি। জীবিকার তাগিদে আলিফের মতো অনেকেরই ভরসা মাছ কাটা। আলিফ ছাড়াও অনেকেই দৈনিক মাছ কাটার কাজ করেন। এটিই তাদের পেশা। মাছ কাটার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার।

কালিবাড়ী বাজারের মাছের বাজারে গেলে দেখা মিলবে এরকম ৫/৬ জন দিনমজুরের। প্রতিটি মাছের দোকানে যেসব মাছ বিক্রি হয় সবগুলো কেটে পিস করে দেন তারা। বিনিময়ে মজুরি হিসেবে মহাজন টাকা দেন।

কথা বলে জানা যায়,ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পর থেকে সংসার নিজের কাঁধে এক ভাই,এক বোন, মা সহ আলিফের পরিবারের মোট ৪ সদস্যের সংসার।

৪ বছর ধরে মাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জাবায়,আগে হাতেগোনা দু-একজন মাছ কিনে কেটে নিতো। এখন ছোট হোক বড় হোক সব মাছ কেটে দিতে হয়। মাছ কাটা এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। মাছ কাটতে আমার অনেক ভালো লাগে। দিনে ৪০/৫০ কেজি মাছ কাটলে আমার কোনো সমস্যা হবে না বরং ভালোই লাগবে।’

আলিফের কাছ থেকে মাছ কেটে নিচ্ছিলেন ক্রেতা মিলন মন্ডল ও আলমগীর হোসেন । তারা বলেন, আগে আমরা শুধু মাছ কিনে নিয়ে যেতাম। বাসায় গিয়ে কাটা-ছেঁড়া করতাম। এখন তারা কেটে দেয়াতে আমাদের সুবিধা হয়। বাসায় গিয়ে আর কাটতে হয় না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

পলাশবাড়ীতে মাছ কেটে সংসার চলে আলিফের

Update Time : ০৮:১০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মাছ কেটে সংসার চলে আলিফের,সে ‘মাছ কাটে প্রায় ৪ বছর যাবৎ। ছোট থেকে এই পেশায় থাকায় এখন অভ্যাস হয়ে গেছে তার। এটাই তার রুটি-রুজি। দিনে যে ৫/৬’শ টাকা দেয় মহাজন,সেটা দিয়েই সংসার চালাই।’

২৩শে নভেম্বর শনিবার দুপুরে পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আলিফ (১৮)’র সাথে কথা হয় মাছ কেটে জীবন-জীবিকা নির্বাহের বিষয়ে। চার বছর থেকে মাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করছে সে।

সবচেয়ে বড় ও পরিচিত মাছের বাজার পলাশবাড়ীর পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজার। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা করা ব্যক্তিদের যাতায়াতে ব্যস্ত থাকে বাজারটি। জীবিকার তাগিদে আলিফের মতো অনেকেরই ভরসা মাছ কাটা। আলিফ ছাড়াও অনেকেই দৈনিক মাছ কাটার কাজ করেন। এটিই তাদের পেশা। মাছ কাটার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার।

কালিবাড়ী বাজারের মাছের বাজারে গেলে দেখা মিলবে এরকম ৫/৬ জন দিনমজুরের। প্রতিটি মাছের দোকানে যেসব মাছ বিক্রি হয় সবগুলো কেটে পিস করে দেন তারা। বিনিময়ে মজুরি হিসেবে মহাজন টাকা দেন।

কথা বলে জানা যায়,ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর পর থেকে সংসার নিজের কাঁধে এক ভাই,এক বোন, মা সহ আলিফের পরিবারের মোট ৪ সদস্যের সংসার।

৪ বছর ধরে মাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জাবায়,আগে হাতেগোনা দু-একজন মাছ কিনে কেটে নিতো। এখন ছোট হোক বড় হোক সব মাছ কেটে দিতে হয়। মাছ কাটা এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। মাছ কাটতে আমার অনেক ভালো লাগে। দিনে ৪০/৫০ কেজি মাছ কাটলে আমার কোনো সমস্যা হবে না বরং ভালোই লাগবে।’

আলিফের কাছ থেকে মাছ কেটে নিচ্ছিলেন ক্রেতা মিলন মন্ডল ও আলমগীর হোসেন । তারা বলেন, আগে আমরা শুধু মাছ কিনে নিয়ে যেতাম। বাসায় গিয়ে কাটা-ছেঁড়া করতাম। এখন তারা কেটে দেয়াতে আমাদের সুবিধা হয়। বাসায় গিয়ে আর কাটতে হয় না।