সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফাইল আটকে কৌশলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের

যে সকল উদ্যোক্তারা পণ্যদ্রব্য রপ্তানি করে থাকে বা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রপ্তানি শিল্পের উপাদান গুলো সরবরাহ করে থাকে। তারা তাদের এই রপ্তানি কৃত পন্যের কাঁচামাল বা উপাদানগুলো বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য যে, লাইসেন্সটি করে থাকে সেটিকে বলা হয় বন্ড লাইসেন্স।

সরকার কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্স করার জন্য বিশেষ ভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন।
সরকারের এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে
বিভিন্ন কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্সের ফাইল বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে ঢাকা উত্তর রাজস্ব কর্মকর্তা কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ইরফান আলী ও তার সহযোগী ইরিনা আক্তার এর কাছে।

বন্ড সার্টিফিকেট করতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সব কিছু ঠিক ঠাক থাকা শর্তেও তাদের দিতে হয় মোটা অংকের ঘুষ, এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,কয়েকটি সুনামধন্য কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানের। সেই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, প্রচুর দুর্নীতি চলে এই কাস্টম অফিসে টাকা ছাড়া কোন প্রকার কোন কাজ হয় না।কাস্টমে আসলেই মোটা অংকের ঘুষ চেয়ে বসেন ইরফান আলী। যদি দিতে না রাজি হয়, তাতে ফাইল আটকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ও বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে মামলা দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে যান। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত ১ নভেম্বর আগারগাঁয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ইরফান আলী ও এরিনা আক্তারের অপসারণ চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী কোম্পানির কয়েকজন।

 

অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এই দুই কর্মকর্তার ঢাকা শহরে একাধিক ফ্লাট রয়েছে। নামে বেনামে ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা অফিসে যাতায়াত করেন বিলাস বহুল গাড়িতে।
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন সামান্য বেতনে এসব সরকারি কর্মকর্তারা কিভাবে তাদের এই অট্টালিকা গড়ে তুলেছেন।

এদিকে এই দুই কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ কারা হলে তারা জানান আমাদের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কিছু কর্মর্কতা কর্মচারীরা আমাদের কারণে তাদের ফায়দা সফল করতে না পেরে আমাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে দিয়ে ফাঁসাচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

ফাইল আটকে কৌশলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজস্ব কর্মকর্তাদের

Update Time : ০৭:২৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

যে সকল উদ্যোক্তারা পণ্যদ্রব্য রপ্তানি করে থাকে বা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান রপ্তানি শিল্পের উপাদান গুলো সরবরাহ করে থাকে। তারা তাদের এই রপ্তানি কৃত পন্যের কাঁচামাল বা উপাদানগুলো বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য যে, লাইসেন্সটি করে থাকে সেটিকে বলা হয় বন্ড লাইসেন্স।

সরকার কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানকে বন্ড লাইসেন্স করার জন্য বিশেষ ভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন।
সরকারের এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে
বিভিন্ন কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্সের ফাইল বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে ঢাকা উত্তর রাজস্ব কর্মকর্তা কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ইরফান আলী ও তার সহযোগী ইরিনা আক্তার এর কাছে।

বন্ড সার্টিফিকেট করতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সব কিছু ঠিক ঠাক থাকা শর্তেও তাদের দিতে হয় মোটা অংকের ঘুষ, এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,কয়েকটি সুনামধন্য কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানের। সেই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, প্রচুর দুর্নীতি চলে এই কাস্টম অফিসে টাকা ছাড়া কোন প্রকার কোন কাজ হয় না।কাস্টমে আসলেই মোটা অংকের ঘুষ চেয়ে বসেন ইরফান আলী। যদি দিতে না রাজি হয়, তাতে ফাইল আটকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ও বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে মামলা দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে যান। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত ১ নভেম্বর আগারগাঁয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ইরফান আলী ও এরিনা আক্তারের অপসারণ চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী কোম্পানির কয়েকজন।

 

অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এই দুই কর্মকর্তার ঢাকা শহরে একাধিক ফ্লাট রয়েছে। নামে বেনামে ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা অফিসে যাতায়াত করেন বিলাস বহুল গাড়িতে।
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন সামান্য বেতনে এসব সরকারি কর্মকর্তারা কিভাবে তাদের এই অট্টালিকা গড়ে তুলেছেন।

এদিকে এই দুই কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ কারা হলে তারা জানান আমাদের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কিছু কর্মর্কতা কর্মচারীরা আমাদের কারণে তাদের ফায়দা সফল করতে না পেরে আমাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে দিয়ে ফাঁসাচ্ছেন।