পরিবেশ ও বন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, ‘আমার গাড়ি হর্ন বাজায় না, সেটা আমি এ অবস্থায় আসার সময়ও বাজায় না, তার আগের অবস্থানেও আমার গাড়ি হর্ন বাজাত না। ঢাকা শহরে হর্ন না বাজিয়ে চলা সম্ভব।’
মঙ্গলবার বিমানবন্দর সংলগ্ন ৩ কিলোমিটার সড়ককে হর্নমুক্ত নিরব এলাকা কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।
যানজটের পর সড়কের অন্যতম সমস্যা যানবাহনের হর্নের তীব্র আওয়াজ। ঢাকা শহর হর্নমুক্ত করতে কার্যক্রমের ঘোষণা দিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অক্টোবর, নভেম্বরে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে ঢাকা জুড়েই চলবে এ আয়োজন।
প্রতিদিনই হর্নের আইন ভাঙার মহোৎসব চলে ঢাকা শহরে। আইন মানতে নয় ভাঙ্গতেই যেন তারা অভ্যস্ত। হর্নের অতিরিক্ত ব্যবহার আজ পরিণত হয়ছে শব্দত্রাসে। তাইতো ঢাকার সড়ককে হর্নমুক্ত করার পরীক্ষামুলক কার্যক্রম শুরু হলো আজ থেকে। শাহজালাল বিমানবন্দরের উত্তরে স্কলাস্টিকা পয়েন্ট হতে দক্ষিণে হোটেল লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকাকে হর্নমুক্ত নিরব এলাকা ঘোষণা করা হয়। যেখানে হর্ন বাজালে গুনতে হবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা।
সকালে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সদর দপ্তরে আয়োজন করা হয় সচেতনতামূলক র্যালি। তুলে ধরা হয় শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক। পরে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হর্ন একটি অভ্যাসগত বিষয়। হর্ন বাজানোর অভ্যাস রোধে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণেরও পরামর্শ তার।
এমন সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার বসবাসকারী ও সড়ক ব্যবহারকারীরা। তারাও চান আইনের সঠিক প্রয়োগ। মহসড়কে লেন মানার নীতির তোয়াক্কা করছেন না কেউই। চালকরা বলছেন, লেন মানতে বাধ্য না করা গেলে হর্ন দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
পরিবহন নেতারা বলছেন, চালকদের নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করা হচ্ছে মনিটরিং।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, ‘যারা রাস্তায় থাকবেন পুলিশ বিভাগ ট্রাফিক বিভাগ তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের ভলেন্টিয়ার দিয়েছি এবং তারা সার্বক্ষণিক এই কার্যক্রম যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ স্বার্থকভাবে মাঠে থাকবে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন হাসপাতাল, সচিবালয় ও দেশের বিমানবন্দর এলাকার সড়ককে নিরব এলাকা ঘোষণা করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
(ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিঃ)