চরম দুর্ভোগে কাটছে গাইবান্ধা বন্যার্ত মানুষের। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘটসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।এতে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে বন্যার্ত মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সোমবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি ইন্জিনিয়ার নাহিদ নিগার সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে বন্যা দুর্গত এলাকায় ৮০০ মানুষের মাঝে জিআর চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন- সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল, সুন্দরগজ প্রেস ক্লাবের সভাপতি, মোশারফ হোসেন বুলুসহ প্রমুখ।
জানা গেছে,গাইবান্ধার চারটি উপজেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৬৫টি চরাঞ্চলে এখন থৈ-থৈ পানি। চারটি উপজেলার নদীবেষ্টিত ৮৫ কিলোমিটার জুড়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তবে কাজের তদারকির দায়িত্ব ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য মজবুত টেকসই উন্নয়ন তেমনটা হয়নি। নিজেদের আশ্রয় ও শেষ সম্বলটুকু আকড়ে ধরে রাখতে গবাদি পশু ও ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে নৌকায় ঝুপড়ি তুলে গাদাগাদি করে বাস করেছে তারা। আবার অনেকে নদীর বাঁধ ও অন্যদিকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসন থেকে ১৮১টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র তাদের জন্য অনিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা দিয়েছে নদীর প্রবল স্রোত। স্রোতের কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নের পোড়ার চরের অন্তত ৪৫০টি পরিবার ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। চরের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পরেছে। বন্যায় ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এখন অনেক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ 











