সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের ২ একর ৩ শতাংশ জমি উদ্ধারে এসিল্যান্ডের পরিদর্শন

Digital Camera

সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার অফিসের হাটের সরকারী সম্পতি অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পলাশবাড়ী উপজেলা ভূমি অফিস।

১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে পলাশবাড়ী পৌর শহরের জামালপুর মৌজা ও হরিনমারী মৌজায় অবস্থিত অফিসের হাট পরির্দশন করেন পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমাদুল হাসান। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের আশপাশে থাকা খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমি গুলো পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ও উপজেলা সহাকরি ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারি রেজাউল করিম,সার্ভেয়ার সানি আসলাম,চেইনম্যান শহিদুল ইসলাম,পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মমিনুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ পরিদর্শন কালে অফিসের হাটের জমিতে বসবাসকারীদের বৈধ কাগজপত্রদিসহ ভূমি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং উক্ত হাটের সরকারি সম্পত্তি হতে দখলদার উচ্ছেদ করে হাটের জমি উদ্ধার করা হবে বলে জানান।

উল্লেখ্য,১৯২১ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী স্বাধীন হয়েছিলো। এ স্বাধীনতা অর্জনে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় অফিস ছিলো আজকের অবৈধ দখলদারের হাতে বিলীন হওয়া ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাট।

পলাশবাড়ী কালিবাড়ীতে সপ্তাহের শনি ও বুধবার হাট বসতো পাশাপাশি অফিসের হাটে বৃহস্পতিবার ও সোমবার বাজার বসতো।

পলাশবাড়ী পৌর এলাকার জামালপুর মৌজার ১১০৩ দাগে ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহ্যাসিক স্মৃতি বিজরিত অফিসের হাটের ২ একর ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ জমিতে পলাশবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ এর দখলে রয়েছে। উক্ত মৌজায় অফিসের হাটের বাকি ২ একর ৩ শতাংশ জমি কালের বিবর্তনে ও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতায় অবৈধ দখলদারের দখলে রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি বিজরিত অফিসের হাটের অস্তিত্ব রক্ষায় ও খাস জমি উদ্ধারে এবং উক্ত ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাট বিলীনের সাথে জড়িতদের চিহিৃন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রশাসন,বিভাগীয় কমিশনার,ভূমি মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন পলাশবাড়ী পৌর এলাকাসহ উপজেলার সচেতন মহল। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের জমি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরাসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের ২ একর ৩ শতাংশ জমি উদ্ধারে এসিল্যান্ডের পরিদর্শন

Update Time : ০৮:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার অফিসের হাটের সরকারী সম্পতি অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পলাশবাড়ী উপজেলা ভূমি অফিস।

১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে পলাশবাড়ী পৌর শহরের জামালপুর মৌজা ও হরিনমারী মৌজায় অবস্থিত অফিসের হাট পরির্দশন করেন পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমাদুল হাসান। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের আশপাশে থাকা খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি খাস জমি গুলো পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ও উপজেলা সহাকরি ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারি রেজাউল করিম,সার্ভেয়ার সানি আসলাম,চেইনম্যান শহিদুল ইসলাম,পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মমিনুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ পরিদর্শন কালে অফিসের হাটের জমিতে বসবাসকারীদের বৈধ কাগজপত্রদিসহ ভূমি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং উক্ত হাটের সরকারি সম্পত্তি হতে দখলদার উচ্ছেদ করে হাটের জমি উদ্ধার করা হবে বলে জানান।

উল্লেখ্য,১৯২১ সালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী স্বাধীন হয়েছিলো। এ স্বাধীনতা অর্জনে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় অফিস ছিলো আজকের অবৈধ দখলদারের হাতে বিলীন হওয়া ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাট।

পলাশবাড়ী কালিবাড়ীতে সপ্তাহের শনি ও বুধবার হাট বসতো পাশাপাশি অফিসের হাটে বৃহস্পতিবার ও সোমবার বাজার বসতো।

পলাশবাড়ী পৌর এলাকার জামালপুর মৌজার ১১০৩ দাগে ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহ্যাসিক স্মৃতি বিজরিত অফিসের হাটের ২ একর ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে মাত্র ৪৫ শতাংশ জমিতে পলাশবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ এর দখলে রয়েছে। উক্ত মৌজায় অফিসের হাটের বাকি ২ একর ৩ শতাংশ জমি কালের বিবর্তনে ও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতায় অবৈধ দখলদারের দখলে রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি বিজরিত অফিসের হাটের অস্তিত্ব রক্ষায় ও খাস জমি উদ্ধারে এবং উক্ত ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাট বিলীনের সাথে জড়িতদের চিহিৃন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রশাসন,বিভাগীয় কমিশনার,ভূমি মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন পলাশবাড়ী পৌর এলাকাসহ উপজেলার সচেতন মহল। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঐতিহ্যবাহী অফিসের হাটের জমি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরাসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।।