সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝোপঝাড়ে সয়লাব নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস, বাড়ছে সাপ-মশার উপদ্রব

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে লতাপাতায় ভরে গেছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়ঙ্কর ঝোপঝাড়। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের সামনে ও পিছনে একাডেমিক ভবন একের সামনে, প্রশাসনিক ভবনের পেছনে, কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ও পিছনে, মেডিকেলের পাশে, সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল হলের সামনে,একাডেমিক ভবনের চারপাশে সহ পুরো ক্যাম্পাস যেন চেয়ে আছে বন জঙ্গলে।

এছাড়া খাদিজা হল, ত্রিধর্মী উপাসনালয়, কেন্দ্রীয় পানি শোধনাগার এর চারপাশসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদ হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের প্রতিটি আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনের আশেপাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, ঝোপঝাড় হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও সেসব জায়গায় নানান প্রজাতির ফুলের গাছ শোভা পেত। পরিকল্পিত বনায়ন অভাবে ক্যাম্পাসের অনেক জায়গা ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে সাপ ও মশার উপদ্রব বাড়ছে। প্রশাসনের উচিত ঝোপঝাড় সরিয়ে পরিকল্পিত বনায়ন করা।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিলা হক বলেন,শীতের সকালে প্রাতভ্রমণে যাওয়ার এক সুপ্ত ইচ্ছে আমাকে সব সময় তাড়া করে তবে ঝোপঝাড়ে ভরা ক্যাম্পাসে ভয়ে বের হতে পারি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, মাননীয় উপাচার্য মহোদয় এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ঝোপঝাড় পরিষ্কার কাজ চলমান রয়েছে। ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোলাপ হোসেনকে। সে যেন দায়িত্ব অবহেলা না করে এবং অতিদ্রুত এই কাজ সম্পূর্ণ করে তার নির্দেশনা দিয়েছি আমরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

ঝোপঝাড়ে সয়লাব নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস, বাড়ছে সাপ-মশার উপদ্রব

Update Time : ১১:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে লতাপাতায় ভরে গেছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়ঙ্কর ঝোপঝাড়। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের সামনে ও পিছনে একাডেমিক ভবন একের সামনে, প্রশাসনিক ভবনের পেছনে, কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ও পিছনে, মেডিকেলের পাশে, সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল হলের সামনে,একাডেমিক ভবনের চারপাশে সহ পুরো ক্যাম্পাস যেন চেয়ে আছে বন জঙ্গলে।

এছাড়া খাদিজা হল, ত্রিধর্মী উপাসনালয়, কেন্দ্রীয় পানি শোধনাগার এর চারপাশসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদ হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের প্রতিটি আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনের আশেপাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, ঝোপঝাড় হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও সেসব জায়গায় নানান প্রজাতির ফুলের গাছ শোভা পেত। পরিকল্পিত বনায়ন অভাবে ক্যাম্পাসের অনেক জায়গা ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে সাপ ও মশার উপদ্রব বাড়ছে। প্রশাসনের উচিত ঝোপঝাড় সরিয়ে পরিকল্পিত বনায়ন করা।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানজিলা হক বলেন,শীতের সকালে প্রাতভ্রমণে যাওয়ার এক সুপ্ত ইচ্ছে আমাকে সব সময় তাড়া করে তবে ঝোপঝাড়ে ভরা ক্যাম্পাসে ভয়ে বের হতে পারি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, মাননীয় উপাচার্য মহোদয় এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ঝোপঝাড় পরিষ্কার কাজ চলমান রয়েছে। ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোলাপ হোসেনকে। সে যেন দায়িত্ব অবহেলা না করে এবং অতিদ্রুত এই কাজ সম্পূর্ণ করে তার নির্দেশনা দিয়েছি আমরা।