সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেল হত্যা ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত কালো  অধ্যায় লায়ন গনি মিয়া বাবুল

লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, জেল হত্যা ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত কালো অধ্যায়। মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিতরা নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার চার বিশ্বস্ত ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রীসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান- কে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে হত্যার অংশ হিসেবেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধীচক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় হয়েছে এবং বেশকয়েকজনের শাস্তি কার্যকর হয়েছে। বাকী পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে রায় কার্যকর করা হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে। জেল হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

জেলা হত্যা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মতিঝিলস্থ ওয়াক্ফ স্টেট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে সকলকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও তার মনোনীতদের ভোট প্রদান করে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ভাসানী’র সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ শিশু-কিশোর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম মিন্টু, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী লীগ নেতা আ হ ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

জেল হত্যা ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত কালো  অধ্যায় লায়ন গনি মিয়া বাবুল

Update Time : ১১:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, জেল হত্যা ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত কালো অধ্যায়। মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিতরা নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার চার বিশ্বস্ত ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রীসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান- কে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে হত্যার অংশ হিসেবেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধীচক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় হয়েছে এবং বেশকয়েকজনের শাস্তি কার্যকর হয়েছে। বাকী পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে রায় কার্যকর করা হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে। জেল হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

জেলা হত্যা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মতিঝিলস্থ ওয়াক্ফ স্টেট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে সকলকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও তার মনোনীতদের ভোট প্রদান করে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ভাসানী’র সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ শিশু-কিশোর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম মিন্টু, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, আওয়ামী লীগ নেতা আ হ ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।