গাইবান্ধার পলাশবাড়ী তে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে এক মাদ্রাসাছাত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ওই বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সে কিছুই খায়নি। প্রেমিক তাকে বিয়ে না করলে সেখানেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে সে।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ,উপজেলার কুমেদপুর(মালতলা) গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল (২৫) সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিলেন। এ সময় রাসেল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এদিকে সম্প্রতি রাসেল মিয়ার পরিবার তাঁর বিয়ের জন্য অন্যত্র পাত্রী দেখে। এ খবর পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই স্কুলছাত্রী রাসেল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। ওই মাদ্রসাছাত্রী বাড়িতে ওঠার পর রাসেল মিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসাছাত্রী রাসেল মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তার নারিকেল গাছ তলায় অবস্থান করছে।
ওই মাদ্রাছাত্রী বলে, ‘রাসেলের পরিবরের লোকজন আমাকে গালিগালাজ ও প্রচন্ডভাবে মারধর করে তাদের বাড়ি থেকে আমাকে বেড় করে দিয়েছে।রাসেল আমাকে বিয়ে না করলে এই বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করব।’
এবিষয়ে রাসেল মিয়ার পাড়াপ্রতিবেশিরা বলেন, ‘মেয়েটি আজ দুই দিন ধরে আমাদের এখানে অবস্থান করছে। তবে এই দুই দিনে সে কিছুই খায়নি। আমরা তাকে খাওয়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এভাবে সে না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমরা মেয়ের পরিবারকে বলেছি, তিনি যেন তার মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।’
ওই ছাত্রীর মা জরিনা বেগম বলেন, ‘রাসেল যে কাজ করেছে, তাতে সমাজে আমার মুখ দেখানোর অবস্থা নেই। আমি চাই, রাসেল আমার মেয়েকে বিয়ে করুক। আর সে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
রাসেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আঃ রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা আছে। তাদের দুজনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে।মেয়েটির বয়স কম।আমি সামাজিকভাবে বিষয় টি সমাধানের চেষ্টা করব।’
স্টাফ রিপোর্টারঃ 











