সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার

গাইবান্ধা সদরর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শ্রী সুবল চন্দ্র মোদককে (৫০) পিটিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি প্রদীপ কুমার মোদক (২৪) ও মৃদুল চন্দ্র মোদক (২৬) নামের দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে র‌্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার আসামি প্রদীপ কুমার মোদক (২৪) ও মৃদুল চন্দ্র মোদক (২৬) গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর আলালের তারী গ্রামের সুনীল চন্দ্র মোদকের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুক্তভোগী সুবল চন্দ্র মোদকের পরিবারের সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি চলে আসছিল। এরই জেরে ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে গত ৩ মে দুপুরের দিকে আসামির বসতবাড়ির সামনে দিয়ে স্থানীয় দাড়িয়াপুর বাজারে যাওয়ার সময় আসামিরা সুবল চন্দ্র মোদককে হত্যার উদ্দেশে লাঠি-ছোরা-দা-রড, লোহার সাবল এবং রামদা ইত্যাদি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে গুরুতর যখম করার পর পালিয়ে যায়।

তৎক্ষনাৎ ভিকটিমের আত্নীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর রক্তাক্ত যখম প্রাপ্ত সুবল চন্দ্র মোদককে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মিন্টু চন্দ্র মোদক বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৩ জুন) র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ও র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩, বগুড়া ক্যাম্পের একটি যৌথ অভিযাত্রিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভিকটিম সুবল চন্দ্র মোদক হত্যা মামলার পলাতক আসামি প্রদীপ কুমার মোদক ও মৃদুল চন্দ্র মোদককে গ্রেফতার করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে আত্নগোপন করে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করত। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। ধৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

গাইবান্ধায় হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার

Update Time : ১১:২৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

গাইবান্ধা সদরর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শ্রী সুবল চন্দ্র মোদককে (৫০) পিটিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি প্রদীপ কুমার মোদক (২৪) ও মৃদুল চন্দ্র মোদক (২৬) নামের দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে র‌্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতার আসামি প্রদীপ কুমার মোদক (২৪) ও মৃদুল চন্দ্র মোদক (২৬) গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর আলালের তারী গ্রামের সুনীল চন্দ্র মোদকের ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুক্তভোগী সুবল চন্দ্র মোদকের পরিবারের সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি চলে আসছিল। এরই জেরে ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে গত ৩ মে দুপুরের দিকে আসামির বসতবাড়ির সামনে দিয়ে স্থানীয় দাড়িয়াপুর বাজারে যাওয়ার সময় আসামিরা সুবল চন্দ্র মোদককে হত্যার উদ্দেশে লাঠি-ছোরা-দা-রড, লোহার সাবল এবং রামদা ইত্যাদি দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে গুরুতর যখম করার পর পালিয়ে যায়।

তৎক্ষনাৎ ভিকটিমের আত্নীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর রক্তাক্ত যখম প্রাপ্ত সুবল চন্দ্র মোদককে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মিন্টু চন্দ্র মোদক বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৩ জুন) র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ও র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩, বগুড়া ক্যাম্পের একটি যৌথ অভিযাত্রিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভিকটিম সুবল চন্দ্র মোদক হত্যা মামলার পলাতক আসামি প্রদীপ কুমার মোদক ও মৃদুল চন্দ্র মোদককে গ্রেফতার করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদেরকে আত্নগোপন করে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করত। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। ধৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।