গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা গ্রামে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর খন্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হরিনাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ বুলবুল আহমেদকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে রবিবার ( ১৪) মে বিকেলে তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো: সিরিকুল ইসলামের ছেলে রোমান মিয়া (১৭) ও তার বন্ধু শরিফুল ইসলাম (১৭) এর দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রবিবার দুপুরে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ তাদের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ পুলিশ কর্মকর্তার ক্লোজ ও আসামিদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ মে (সোমবার) দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ওই গ্রামের প্রবাসী তাহারুল বেপারীর ছেলে বায়োজিদ ( ৪) ।
নিখোঁজের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে তার খোজে নামে। গতকাল শনিবার ( ১৩ মে) বিকেল ৫টার সময় বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে বায়োজিদের খন্ডিত গলিত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বায়োজিদের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে। বায়োজিদের মা রাহেনা বেগম , বোন তিশা আক্তার ও স্বজনরা অভিযোগ করেন , পার্শ্ববর্তী বাড়ির সিরিকুল ইসলামের ছেলে রোমান মিয়া দীর্ঘদিন থেকে তার মেয়ে তিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিল।
বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় মাঝে মধ্যেই হুমকি দিতো সে। তার পরিবারের সদস্যরাই তার ছেলেকে হত্যা করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো: সিরিকুল ইসলামের ছেলে রোমান মিয়া (১৭) তার মা ববিতা বেগম (৪০) ও বন্ধু শরিফুল ইসলাম (১৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
(সুত্র জনগণের খবর)