সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুুরহাটে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্য আটক

জনবহুল স্থান, বিয়ে বাড়ি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে দুর্বল লক থাকা মোটরসাইকেল, অথবা যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক বা তালা থাকে না সেগুলো ‘মাস্টার কি’ ব্যবহার করে মোটরসাইকেলের লক খুলে নিজেরাই মোটরসাইকেল চালিয়ে চুরি করে নিয়ে যেত তারা। এরপর তারা চোরাই মোটরসাইকেল গুলো বিক্রি করা হত।

সম্প্রতি জয়পুরহাট শহরে সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালাকালে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এরপর ডিবিপুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্যদকে আটক করে জয়পুুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি-পুলিশ)। মঙ্গলবার (০৭ ই মার্চ) জয়পুুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম।

আটককৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন,তাওসিব হাসান,রবিউল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহান,শামীম হোসেন,মিম হোসেন,আলফার হোসেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের জয়পুুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান,গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থেকে একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত পহেলা মার্চ জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মোটরসাইকেলের মালিক রাশেদ এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিউলকে আটক করে পরে তার দেওয়া তথ্যেমতে আন্ত জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের আরও ৫ জনকে আটক করা হয়।

আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করতেন তারা। ওই মাস্টার কি দিয়ে এক মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন। এর আগেও বেশ কিছু মোটরসাইকেল জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করে বিক্রি করেছেন তারা।

অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন,জয়পুুরহাট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবিপুলিশ) এর অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহেদ আল-মামুনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা বৃন্দ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

জয়পুুরহাটে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্য আটক

Update Time : ০৯:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

জনবহুল স্থান, বিয়ে বাড়ি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে দুর্বল লক থাকা মোটরসাইকেল, অথবা যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক বা তালা থাকে না সেগুলো ‘মাস্টার কি’ ব্যবহার করে মোটরসাইকেলের লক খুলে নিজেরাই মোটরসাইকেল চালিয়ে চুরি করে নিয়ে যেত তারা। এরপর তারা চোরাই মোটরসাইকেল গুলো বিক্রি করা হত।

সম্প্রতি জয়পুরহাট শহরে সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালাকালে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। এরপর ডিবিপুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৬ সদস্যদকে আটক করে জয়পুুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি-পুলিশ)। মঙ্গলবার (০৭ ই মার্চ) জয়পুুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফ্রিং করে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম।

আটককৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলেন,তাওসিব হাসান,রবিউল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহান,শামীম হোসেন,মিম হোসেন,আলফার হোসেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের জয়পুুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান,গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় সার্কিট হাউজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থেকে একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত পহেলা মার্চ জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মোটরসাইকেলের মালিক রাশেদ এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিউলকে আটক করে পরে তার দেওয়া তথ্যেমতে আন্ত জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের আরও ৫ জনকে আটক করা হয়।

আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করতেন তারা। ওই মাস্টার কি দিয়ে এক মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন। এর আগেও বেশ কিছু মোটরসাইকেল জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করে বিক্রি করেছেন তারা।

অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন,জয়পুুরহাট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবিপুলিশ) এর অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহেদ আল-মামুনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা বৃন্দ।