দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার গাইবান্ধার জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব গাইবান্ধা’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিন সেনের নামে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার জামাতা কর্তৃক মানহানি মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার অনিয়ম-দূর্নীতি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার(২৩ জানুয়ারী) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক এর নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি জনাব খালেদ হোসেন আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব গাইবান্ধা সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২সালের ৭জুন গাইবান্ধার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা ও তার জামাতা আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব গাইবান্ধা’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিন সেন, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিনের উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, আনন্দ টেলিভিশনের গাইবান্ধা জেল প্রতিনিধি মিলন খন্দকার এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধার আদালতে একটি মিথ্যা মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করলে মামলার বিষয়টি জানতে পারেন সাংবাদিকরা।
এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধা জেলা শহরসহ কয়েকটি উপজেলায় আতা ও তার জামাতার বিচার চেয়ে মানববন্ধন সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালিত হয়। কিন্তু এত আন্দোলন সংগ্রামের পরও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি কিংবা দুর্নীতিবাজ আতার বিরুদ্ধে কার্যত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করাসহ ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দূর্নীতিবাজ আতাউর রহমান আতা ও জামাতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপি গ্রহন শেষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ইতোপূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার দূর্নীতি বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিগত দুই বছরের অডিট রির্পোট চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া,একটু সময় লাগবে।