গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্ন্ত হয়ে পড়েছে। এ শীত মৌসুমে আজ শনিবার সকাল ছয়টায় জেলার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বাড়িয়ে তুলেছে শীতের তীব্রতা। ফলে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দূর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে দিয়ে চালাচল করছে যানবাহন।
বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে অনেকেই। তবে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। অভাবের তাড়নায় শীত উপেক্ষা বাইরে বের হলেও গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তারা। শীতজতিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে নানান বয়সীরা।
এদিকে শনিবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিস।
গোপালগঞ্জ শহরের রিক্সাচালক বাদশা মিয়া বলেন, হিমেল হাওয়ায় রিক্সা চালানোই কঠিন। তারপরও শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হতে হচ্ছে। কারনে অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু সুফিয়ান জানিযেছেন, জেলার উপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরো ২-৩ দিন জেলায় কুয়াশা থাকবে। জেলার তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।