সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়পুুরহাট জেলা মাদক উদ্ধারে সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে:প্রশংসায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম

মাদক উদ্ধারে সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ। পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মাদক উদ্ধারে জয়পুরহাট জেলা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এর হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন।

পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত ও চেঁচরা সিমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর ঘাট দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পিস ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন ও নেশাজাতীয় ইনজেকশন ব্যাপকভাবে চোরাইপথে জয়পুরহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় এনে এসব মাদক স্থানীয়ভাবে বেচা-বিক্রিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাত এবং রাতদিন সমানে চলতো রমরমা মাদক ব্যবসা।

এদিক ওদিক থেকে আসছে মোটরসাইকেল, হাত বাড়িয়ে টাকা দিচ্ছে, একই সঙ্গে তারা মাদকের পুটলি বুঝে নিচ্ছে। মাদক কারবারিরা ২৪ ঘন্টা জুড়ে হয়ে উঠেছিল সক্রিয়। যার কারণে বিভিন্ন সময় খবরের শিরোনামে থাকতো এই জেলা।

পুলিশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাটে মোহাম্মদ নূরে আলম যোগদান করার পর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায়, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, স্থানীয় থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা টিমের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখে মাদক উদ্ধারসহ মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে মাদক উদ্ধারে সারাদেশের মধ্যে জয়পুরহাট জেলা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ছোট জেলা হিসেবে অন্য জেলাগুলোর সাথে কম্পিটিশনের মাধ্যমে এই অর্জন করে আমরা জয়পুরহাট জেলার জন্য বিরাট সন্মান বয়ে আনতে পেরেছি। জয়পুরহাট জেলার সকল পুলিশ অফিসার ও ফোর্সরা আন্তরিকভাবে কাজ করে বলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

এই অর্জনে জয়পুরহাট জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এর সদস্য সচিব বাবু নন্দলাল পার্শী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমসহ পাঁচটি থানার ওসি ও জয়পুুরহাট জেলার সকল পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,পুলিশ সুপার হিসেবে জেলাতে যোগদানের পরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশের এই চৌকশ কর্মকর্তা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ শুরু করে জয়পুুরহাট
জেলাকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আনার জন্য দিনরাত অবিরাম চেষ্টা করছেন এবং ইতিমধ্যে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। ওনার কর্ম দক্ষতায় এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রেখেছেন। এছাড়াও তিনি জেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধীদের সকল বিবিধ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। আমার জেনেছি তিনি ইতিমধ্যে হতদরিদ্র ও শীতার্তদের মাঝে প্রায় পঁচিশ হাজার কম্বল বিতরণ বিতরণ করেছেন। এটি তার মানবিক দিক। কাজেই আমরা বলতেই পারি এই মানবিক পুলিশ সুপার এবং জেলা পুলিশ জয়পুরহাটের জন্য যে সন্মান বয়ে এনেছে তাতে আমরা গর্ববোধ করি।

জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, এত বড় পুরস্কার আসলে সৌভাগ্যের ব্যাপার। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে স্যারকে নিয়ে আমরা গর্বিত।ওনার নেতৃত্বে শতভাগ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আমরা আগামীতে দ্বিতীয় থেকে প্রথম স্থান অর্জন করবো ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি এ জেলার সকল পর্যায়ের মানুষকে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।

এদিকে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সুধীমহল পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো সফলতা কামনা করেছেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

জয়পুুরহাট জেলা মাদক উদ্ধারে সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে:প্রশংসায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম

Update Time : ০৯:২০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

মাদক উদ্ধারে সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ। পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মাদক উদ্ধারে জয়পুরহাট জেলা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এর হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন।

পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত ও চেঁচরা সিমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর ঘাট দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পিস ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন ও নেশাজাতীয় ইনজেকশন ব্যাপকভাবে চোরাইপথে জয়পুরহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় এনে এসব মাদক স্থানীয়ভাবে বেচা-বিক্রিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাত এবং রাতদিন সমানে চলতো রমরমা মাদক ব্যবসা।

এদিক ওদিক থেকে আসছে মোটরসাইকেল, হাত বাড়িয়ে টাকা দিচ্ছে, একই সঙ্গে তারা মাদকের পুটলি বুঝে নিচ্ছে। মাদক কারবারিরা ২৪ ঘন্টা জুড়ে হয়ে উঠেছিল সক্রিয়। যার কারণে বিভিন্ন সময় খবরের শিরোনামে থাকতো এই জেলা।

পুলিশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাটে মোহাম্মদ নূরে আলম যোগদান করার পর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায়, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, স্থানীয় থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা টিমের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখে মাদক উদ্ধারসহ মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে মাদক উদ্ধারে সারাদেশের মধ্যে জয়পুরহাট জেলা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ছোট জেলা হিসেবে অন্য জেলাগুলোর সাথে কম্পিটিশনের মাধ্যমে এই অর্জন করে আমরা জয়পুরহাট জেলার জন্য বিরাট সন্মান বয়ে আনতে পেরেছি। জয়পুরহাট জেলার সকল পুলিশ অফিসার ও ফোর্সরা আন্তরিকভাবে কাজ করে বলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

এই অর্জনে জয়পুরহাট জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এর সদস্য সচিব বাবু নন্দলাল পার্শী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমসহ পাঁচটি থানার ওসি ও জয়পুুরহাট জেলার সকল পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,পুলিশ সুপার হিসেবে জেলাতে যোগদানের পরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশের এই চৌকশ কর্মকর্তা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ শুরু করে জয়পুুরহাট
জেলাকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আনার জন্য দিনরাত অবিরাম চেষ্টা করছেন এবং ইতিমধ্যে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। ওনার কর্ম দক্ষতায় এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রেখেছেন। এছাড়াও তিনি জেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধীদের সকল বিবিধ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। আমার জেনেছি তিনি ইতিমধ্যে হতদরিদ্র ও শীতার্তদের মাঝে প্রায় পঁচিশ হাজার কম্বল বিতরণ বিতরণ করেছেন। এটি তার মানবিক দিক। কাজেই আমরা বলতেই পারি এই মানবিক পুলিশ সুপার এবং জেলা পুলিশ জয়পুরহাটের জন্য যে সন্মান বয়ে এনেছে তাতে আমরা গর্ববোধ করি।

জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, এত বড় পুরস্কার আসলে সৌভাগ্যের ব্যাপার। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে স্যারকে নিয়ে আমরা গর্বিত।ওনার নেতৃত্বে শতভাগ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আমরা আগামীতে দ্বিতীয় থেকে প্রথম স্থান অর্জন করবো ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি এ জেলার সকল পর্যায়ের মানুষকে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।

এদিকে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সুধীমহল পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো সফলতা কামনা করেছেন।