সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের পুনরায় পদে দায়িত্ব পালনে অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

“দুর্নীতিবাজ ঠেকাও,উদাখালী মডেল কলেজকে বাঁচাও”এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী মডেল কলেজের বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ দূর্নীতিবাজ এনামুল হকের পুনরায় অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনে অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড,ফুলছড়ি উপজেলা কমাণ্ড,গাইবান্ধা কর্তৃক এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

 

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেদী হাসান বাবু,সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড,ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,গাইবান্ধা।

 

জানাযায়,এ মানববন্ধনকে ভণ্ডুল করার জন্য অধ্যক্ষ এনামুল হকের সন্ত্রাসীবাহিনী মানববন্ধনে তাণ্ডব চালায় এবং মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকদের উপর অতর্কিত হামলা চালান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,দুর্নীতি/অনিয়মের দায়ে ফুলছড়ি উপজেলা হেডকোয়ার্টার সংলগ্ন উদাখালী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মো.এনামুল হককে গত ১৮/১০/২০২২ তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

বিগত ১০/১১ বছরে ছাত্র/ছাত্রীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি এর ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎকরণ।

কলেজ ফান্ডের টাকা দিয়ে কলেজের জমি না কিনে নিজ নামে জমি ক্রয় করে‘প্রিন্সিপালের মোড়’ উদ্ধোধন। ১৭ জন শিক্ষক/কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে ৫০ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বাণিজ্যকরণ;পূর্বে নিয়োগকৃত স্থানীয় শিক্ষক/কর্মচারীকে ছাটাই করে বহিরাগত ও আত্মীয়-স্বজনকে অবৈধভাবে নিয়োগকরণ:এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়াই অবৈধ পন্থায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়া; বিগত ১০ বছর যাবৎ একই ব্যক্তিকে কলেজ কমিটিতে অবৈধ অভিভাবক সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণঃ কলেজের যাবতীয় নথিপত্র নিজ বাড়ীতে সংরক্ষণ: কলেজ কমিটির অনুমোদন না নিয়ে যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা; অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং লেনদেন না করা। পার্শ্ববর্তী হ্যালি প্যাডের সরকারি জমি কলেজের নামে প্রদর্শন করা। নিজ ইচ্ছা মাফিক কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। শিক্ষক/কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ। শিক্ষক/কর্মচারীদের প্রয়োজন কাগজপত্র ও শিক্ষাগত সনদ আটকে রেখে তাদের হয়রানিকরণ। অধ্যক্ষের প্রতি শিক্ষক/কর্মচারীদের অনাস্থা জ্ঞাপন। কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠন না করে বার বার এডহক কমিটি গঠনকরণ।এমপিওভূক্তির খরচ বাবদ শিক্ষক/কর্মচারীদের নিকট নূতন করে ৩ লক্ষ টাকা করে চাঁদা দাবী করার কথা জানানো হয়।

কিন্তু বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এনামুল হক বেআইনীভাবে এখনো অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় কলেজটির সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে দুর্নীতিবাজ এনামুল হক যাতে কোনভাবেই তার অপচেষ্টা চালাতে না পারে সেজন্য সচেতন মহলকে এগিয়ে আসার জোর আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের পুনরায় পদে দায়িত্ব পালনে অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

Update Time : ০৮:১৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

“দুর্নীতিবাজ ঠেকাও,উদাখালী মডেল কলেজকে বাঁচাও”এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী মডেল কলেজের বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ দূর্নীতিবাজ এনামুল হকের পুনরায় অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনে অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড,ফুলছড়ি উপজেলা কমাণ্ড,গাইবান্ধা কর্তৃক এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

 

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেদী হাসান বাবু,সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড,ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,গাইবান্ধা।

 

জানাযায়,এ মানববন্ধনকে ভণ্ডুল করার জন্য অধ্যক্ষ এনামুল হকের সন্ত্রাসীবাহিনী মানববন্ধনে তাণ্ডব চালায় এবং মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকদের উপর অতর্কিত হামলা চালান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,দুর্নীতি/অনিয়মের দায়ে ফুলছড়ি উপজেলা হেডকোয়ার্টার সংলগ্ন উদাখালী মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মো.এনামুল হককে গত ১৮/১০/২০২২ তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

বিগত ১০/১১ বছরে ছাত্র/ছাত্রীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি এর ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎকরণ।

কলেজ ফান্ডের টাকা দিয়ে কলেজের জমি না কিনে নিজ নামে জমি ক্রয় করে‘প্রিন্সিপালের মোড়’ উদ্ধোধন। ১৭ জন শিক্ষক/কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে ৫০ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বাণিজ্যকরণ;পূর্বে নিয়োগকৃত স্থানীয় শিক্ষক/কর্মচারীকে ছাটাই করে বহিরাগত ও আত্মীয়-স্বজনকে অবৈধভাবে নিয়োগকরণ:এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়াই অবৈধ পন্থায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়া; বিগত ১০ বছর যাবৎ একই ব্যক্তিকে কলেজ কমিটিতে অবৈধ অভিভাবক সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণঃ কলেজের যাবতীয় নথিপত্র নিজ বাড়ীতে সংরক্ষণ: কলেজ কমিটির অনুমোদন না নিয়ে যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা; অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং লেনদেন না করা। পার্শ্ববর্তী হ্যালি প্যাডের সরকারি জমি কলেজের নামে প্রদর্শন করা। নিজ ইচ্ছা মাফিক কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। শিক্ষক/কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ। শিক্ষক/কর্মচারীদের প্রয়োজন কাগজপত্র ও শিক্ষাগত সনদ আটকে রেখে তাদের হয়রানিকরণ। অধ্যক্ষের প্রতি শিক্ষক/কর্মচারীদের অনাস্থা জ্ঞাপন। কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠন না করে বার বার এডহক কমিটি গঠনকরণ।এমপিওভূক্তির খরচ বাবদ শিক্ষক/কর্মচারীদের নিকট নূতন করে ৩ লক্ষ টাকা করে চাঁদা দাবী করার কথা জানানো হয়।

কিন্তু বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এনামুল হক বেআইনীভাবে এখনো অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় কলেজটির সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে দুর্নীতিবাজ এনামুল হক যাতে কোনভাবেই তার অপচেষ্টা চালাতে না পারে সেজন্য সচেতন মহলকে এগিয়ে আসার জোর আহ্বান জানানো যাচ্ছে।