বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল | ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Dainik Bangladesh - dainikbd24@gmail.com - facebook.com/Bangladesh24Official

গাইবান্ধায় এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২

বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এর অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা পৌরপার্কের সামনে থেকে বের হয় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি। র‍্যালী শেষে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, এমপি।এসময় তিনি বলেন, “স্কুলটি তৈরির সময় আমি বলেছিলাম গাইবান্ধায় একটি উন্নত ও ভাল মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। যাতে এই এলাকার শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আমি যখন পড়াশোনা করেছি, তখন গাইবান্ধায় এমন সুন্দর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাইনি। আমাদের বাড়ির পাশে ভালো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। পিতা-মাতার দায়িত্ব হলো তার সন্তানকে ভালো স্কুলে পাঠানো। যাতে সে সন্তান মানবসম্পদে রুপান্তর হয়। আমি সবার কাছে এই প্রত্যাশা করি।“

এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের সভাপতি ও এসকেএস ফাউণ্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরিফুল আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, “গাইবান্ধা একটি পিছিয়ে থাকা জেলা। এই জেলায় এসকেএস ফাউণ্ডেশন সমাজ সেবা কর্মসূচি ছাড়াও শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে অবদান রাখছে। এটি জেলার মধ্যে অন্যতম ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে পাঠ্যপুস্তক পড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষার উপকরণ রয়েছে। তাই শিক্ষা অর্জনের এটি একটি ভালো প্রতিষ্ঠান।“

গাইবান্ধা পৌর মেয়র বলেন, “ভালো শিক্ষা নিতে হবে। শিক্ষা নিয়ে দেশের সেবা করতে হবে। তবেই দেশের মঙ্গল হবে। তাই মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।“

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, “আমি আমার সন্তানের ভালো পড়াশোনার জন্য গাইবান্ধায় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করেছিলাম, এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ হলো সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে আমি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি মনোরম পরিবেশও লক্ষ্য করেছি। যা শিক্ষার্থীর মনোবিকাশে খুবই সহায়ক।“

রাসেল আহম্মেদ লিটন বলেন, “এই এলাকার প্রয়োজনের ভিত্তিতে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ তৈরি হয়েছে। এটি গাইবান্ধার মানুষ গড়ার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। বাড়িতে থেকে বা শুধু কোচিং করে ভালো ফলাফল করা যায় না। তাই আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন এবং তাদের পড়াশোনার বিষয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর নিবেন। শিক্ষা অর্জনে বই পড়ার পাশাপাশি আরও অনেক কিছু শিখতে হয়। এই প্রতিষ্ঠানে সে সুযোগ রয়েছে; যা ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে। তাই আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন, আমরা আপনার সন্তানের ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করবো। এটা আমাদের দায়িত্ব।“

আলোচনাসভা শেষে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ-এর বার্ষিক ম্যাগাজিন ‘নবোদয়’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। এছাড়া তিনি ২০২২ এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪৪ জন, এইচএসসি ২০২১ এ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। পাশাপাশি জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্ত ৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিশেষ ক্রেস্ট তুলে দেন। আলোচনাসভার আগে তিনি শিক্ষার্থীদের তৈরি বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।