মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল | ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Dainik Bangladesh - dainikbd24@gmail.com - facebook.com/Bangladesh24Official

প্রভাব খাটিয়ে দরপত্র ছাড়াই ব্রীজ ভেঙে মালামাল লুট করছে ঠিকাদার.!

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দরপত্র ছাড়াই পুরাতন ব্রীজ ভেঙে ঠিকাদার রায়হান মালামালগুলো লুট করেছে।

সরেজমিনে প্রকাশ,বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদর থেকে চতরা জিসি রোড ভায়া কিশোরগাড়ী রোডে ১৯০০ মিটার চেইনেজে শিমুলিয়া নামক স্থানে ৩০.০৬ মিটার দৈর্ঘ্য আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়।

উক্ত কাজটি মেসার্স বসুন্ধরা হাউস বিল্ডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও কাজটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় তুলসীঘাটের জনৈক রায়হান নামের এক সাব-ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। উক্ত স্থানে পূর্বের পুরাতন ব্রীজটি নিলামের মাধ্যমে অপসরণের নির্দেশ থাকলেও রায়হান ঠিকাদার রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে স্বল্প মূল্যে ব্রীজটি নিলামে নেয়ার জন্য সুকৌশলে এক মাস পূর্বে ব্রীজটি ভাঙা শুরু করেন। স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার ব্রীজটি ভাঙ্গা বন্ধ করে দেন। এমতাবস্থায় ৮ নভেম্বর পূনরায় নিলাম ছাড়াই ঠিকাদার রায়হান ব্রীজটি ভাঙ্গা শুরু করেন। উপজেলা প্রকৌশলী সংবাদ পেয়ে পূনরায় ব্রীজটি ভাঙ্গা বন্ধের মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন।

এমতাবস্থায় ৯ নভেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় ২১ নভেম্বর ব্রীজটি নিলামের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ধুরন্ধর ঠিকাদার রায়হান সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ৯ নভেম্বর সকাল থেকে পূনরায় উক্ত ব্রীজটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন। পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী খবর পেয়ে ব্রীজ ভাঙ্গার কাজ বন্ধ করে ঘটনান্থল ত্যাগ করার পরে আবারও ব্রীজটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছেন রায়হান ঠিকাদার।

এব্যাপারে গাইবান্ধা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, ব্রীজটি নিলামের আগেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অপসরণ করে মালামাল মজুদ রাখবে। পরে উক্ত মালামাল নিলামে বিক্রি করা হবে।