বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বিএনপি একের পর এক মহাসমাবেশ করেছে এবং সমাবেশে প্রচুর সংখ্যক লোক উপস্থিত হচ্ছে।এসব উপস্থিতি দেখে তারা মনে করছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছাকাছি চলে আসছে।প্রশাসনের লোকজন ও সাধারন মানুষের মাঝে এর প্রভাব পড়ছে।সে কারনের সমাবেশ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে ও ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করা হবে। এর আগে ১১ নভেম্বর ঢাকায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। আওযামী লীগও চাচ্ছে জনসম্পৃক্ততা বেশি এমন কর্মসূচী গ্রহণ করতে। আমরা এর আগে যে সমাবেশগুলো করেছি তা বিএনপির মহাসমাবেশের কাউন্টার হিসাবে।
আজ মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কায্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম আরো বলেন, আমরা এমন সময় সম্মেলন করছি যখন বিরোধ দল রাজপথে নেমেছে, সরকার পতনের লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায়। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে, যে কারনে জেলা সম্মেলনগুলো গুরুত্বসহকারে করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সাধারন মানুষের দৃস্টিতে আনতে আমরা সম্মেলনগুলো সমাবেশের আদলে করা হবে। যাতে সাধারন মানুষের উপস্থিতি বিএনপির দৃস্টিতে আসে। এরই আদলে গোপালগঞ্জের জেলা সম্মেলন করা হবে। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারনে সাংগঠনিক চর্চা থেকে আমরা দূরে সড়ে এসেছি। গঠনতন্ত্রের নির্দেশগুলো পলন করা হচ্ছে না। গঠনতন্ত্রে উল্লেথ রয়েছে প্রতিটি ইউনিট প্রতি মাসে কম করে হলেও একটি করে কায্যনির্বাহী কমিটির সভা করবে। কিন্তু আমরা তা করি না, ৬ মাস, নয় মাস এমনকি অনেক জেলায় ৩ বছরেও কোন সভা হয় না। ৩ মাস বা ৬ মাস পরপর একটি করে বর্ধিত সভা করার কথাও রয়েছে কিন্তু সেটাও করা হয় না। ৬ মাস পরপর একটি কর্মী সভা ও বছর শেষে একটি জনসভা করার কথা আছে কিন্তু আমরা সেগুলোও করি না।
মির্জা আজম আরো বলেন, গতকাল আমরা গাজীপুরে মহনগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করেছি। সেই তারিখটি যেদিন বিএনপির মহাসমাবেশ রয়েছে। আগামী ১৯ নভেম্বর এ সম্মেলন হবে। আগামী ২৬ নভেম্বর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে। ওই দিনও বিএনপির সমাবেশ রয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ রয়েছে সেদিনও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিতসভায় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।