সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর পদে পরিবর্তনের আভাস

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে ঢেলে সাজানো হয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত প্রকৌশল দপ্তরগুলো। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গণপূর্ত অধিদপ্তর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশল দপ্তরগুলোর মধ্যে অন্যতম।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী পদে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। অধিদপ্তরটির প্রধান প্রকৌশলী পদটি ঘিরে তৈরী হওয়া সিন্ডিকেটের কারনে অধিদপ্তরটি বারবার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়। এর ফলশ্রুতিতে ‘ক্লিন ইমেজ’ ভেবে শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। জি কে শামীম ও গোল্ডেন মনির সিন্ডিকেটের পর বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী তার ঘনিষ্ঠদের নিয়ে তৈরী করেন আরেকটি সিন্ডিকেট। এরমধ্যে তার পূর্বের কর্মস্থল হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) নানা অনিয়ম নিয়ে শুরু হয় তদন্ত।

তদন্ত কমিটির দেয়া কয়েকশত পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে সরকারি অর্থ তছরুপের ঘটনা। এইচবিআরআই’তে থাকাকালীণ তা ঘনিষ্ঠ বা মুরীদদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে নানাভাবে অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় বিব্রত হয়ে পড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। শামীম আখতার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার পর এইচবিআরআই’য়ের সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো দপ্তরটিতে নতুন সিন্ডিকেট হয়ে আর্বিভূত হয়। তার ঘনিষ্ঠ কিংডম বিল্ডার্স,অর্থি এন্টারপ্রাইজ, জামান বিল্ডার্স ছাড়াও আরো অনেক মুরীদ অন্যের লাইসেন্স ব্যবহার করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন ডিভিশনে কাজ করছে। আর সিন্ডিকেটের কে কাজ দিতে গিয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে বিশেষ অনুরোধে নতুন এই সিন্ডিকেটকে কাজ দিতে হচ্ছে বলে জানান কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী।

প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে প্রধান প্রকৌশলী পদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা যায়। আর প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরটিতে যাদের নাম এগিয়ে আছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ও চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের।

আবার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, বির্তকিত কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য অন্য দপ্তর থেকে প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ বা প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। তবে বর্তমান অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি নিরশনে এবং প্রতিষ্ঠানটিতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে নিয়োগের সম্ভাবনা বেশী বলে জানা যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক-বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর পদে পরিবর্তনের আভাস

Update Time : ০৯:১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে ঢেলে সাজানো হয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত প্রকৌশল দপ্তরগুলো। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গণপূর্ত অধিদপ্তর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশল দপ্তরগুলোর মধ্যে অন্যতম।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী পদে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। অধিদপ্তরটির প্রধান প্রকৌশলী পদটি ঘিরে তৈরী হওয়া সিন্ডিকেটের কারনে অধিদপ্তরটি বারবার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়। এর ফলশ্রুতিতে ‘ক্লিন ইমেজ’ ভেবে শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়। জি কে শামীম ও গোল্ডেন মনির সিন্ডিকেটের পর বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী তার ঘনিষ্ঠদের নিয়ে তৈরী করেন আরেকটি সিন্ডিকেট। এরমধ্যে তার পূর্বের কর্মস্থল হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) নানা অনিয়ম নিয়ে শুরু হয় তদন্ত।

তদন্ত কমিটির দেয়া কয়েকশত পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে সরকারি অর্থ তছরুপের ঘটনা। এইচবিআরআই’তে থাকাকালীণ তা ঘনিষ্ঠ বা মুরীদদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে নানাভাবে অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় বিব্রত হয়ে পড়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। শামীম আখতার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার পর এইচবিআরআই’য়ের সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো দপ্তরটিতে নতুন সিন্ডিকেট হয়ে আর্বিভূত হয়। তার ঘনিষ্ঠ কিংডম বিল্ডার্স,অর্থি এন্টারপ্রাইজ, জামান বিল্ডার্স ছাড়াও আরো অনেক মুরীদ অন্যের লাইসেন্স ব্যবহার করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন ডিভিশনে কাজ করছে। আর সিন্ডিকেটের কে কাজ দিতে গিয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে বিশেষ অনুরোধে নতুন এই সিন্ডিকেটকে কাজ দিতে হচ্ছে বলে জানান কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী।

প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে প্রধান প্রকৌশলী পদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানা যায়। আর প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরটিতে যাদের নাম এগিয়ে আছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ ও চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের।

আবার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, বির্তকিত কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য অন্য দপ্তর থেকে প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ বা প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। তবে বর্তমান অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি নিরশনে এবং প্রতিষ্ঠানটিতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে নিয়োগের সম্ভাবনা বেশী বলে জানা যায়।