1. info@dainikbd24.com : দৈনিক বাংলাদেশ : দৈনিক বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সার্বিক কর্ম মুল্যায়নে শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে নির্বাচিত হলো আদিতমারী গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট: জয় রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা ফুলছড়িতে গনবিবাহ রেজিষ্ট্রেশন ক্যাম্পেইন ও দেনমোহর প্রদান অনুষ্ঠিত উপহারের ঘরে থাকা মজিরনের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার টাকা গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতির রহস্য উন্মোচন,টাকা উদ্ধার পলাশবাড়ীতে অনুর্ধ্ব ১২ গাইবান্ধা জেলা ফুটবল দলের ১০ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অবশেষে শিশু বাইজিদ এর হত্যাকারীদের মূলহোতা সেরেকুল গ্রেফতার নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ হুইপ গিনি এমপি’র গেটম্যান ছাড়াই ট্রেন দুর্ঘটনা রুখবে অ্যাডভান্স রেলগেট সিস্টেম।

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে চান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

৩১ জানুয়ারি ১৯৬৭ সাল, তখন শীতকাল। মাঘ মাসের কনকনে শীতে উত্তরের প্রবেশদ্বার বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম। স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে থাকলেও তার শৈশব আর কৈশর কেটেছে দুরন্তপনায়।

শিক্ষাজীবনে তিনি করপুর বাই-ল্যাটারাল উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন।

তিনি বর্তমান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে মেধাতালিকায় প্রথম শ্রেণীতে ২য় হিসাবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়াও ২০০৯ সালে তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৫ তম বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারের মেধা তালিকায় প্রথম হিসাবে ১৯৯৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন।

তিনি ১৯৯৮ সালে সালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৭ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি লাভ করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট,গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

র্দীঘ র্কমজীবনে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি চাকুরি ক্ষেত্রে অনেক সুনাম অর্জন করেন। গণর্পূত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।

কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও সৎ একজন কর্মকর্তা। তার চাকুরি ও কর্মকাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী এ বছর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্যতম অবদান রাখায় হজ্জ পালন করার সুযোগ প্রদান করেন।

তিনি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)- এর আজীবন ফেলো। ক্যাডেট কলেজ ক্লাব লিমিটেড, বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ সমিতি ইত্যাদির আজীবন সদস্য মোঃ আশরাফুল আলম। এছাড়াও তিনি অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এবং আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স এর সম্মানিত সদস্য। চাকুরি ছাড়াও তিনি বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনিতিন কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।

হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মিশন ভিশন নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত পোঁড়া মাটির ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী উদ্ভাবন করছি আমরা। এছাড়াও এইচবিআরআই ইতোমধ্যে স্যান্ড সিমেন্ট সলিড ব্লক, স্যান্ড সিমেন্ট হলো ব্লক, থার্মাল ব্লক, নন ফায়ার্ড সলিডিফিকেশন ব্লক, CSEB, AAC ব্লক ইত্যাদি পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী উদ্ভাবন করেছে। আমরা পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী তৈরী করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নতুন করেন পরিচয় করিয়া দিতে চাই।

এসময় তিনি আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী উদ্ভাবনের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের সুরক্ষা হচ্ছে অন্যদিকে আমাদের কৃষিজমির উপরিভাগ তথা টপ সয়েল রক্ষা পাচ্ছে । এছাড়াও অত্র প্রতিষ্ঠানে গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবিত নির্মাণ উপকরণ/প্রযুক্তি বিপণন ও সম্প্রসারন, ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে গৃহায়ন ও নির্মাণ বিষয়ক পরামর্শ সেবা প্রদান। করে থাকে । নির্মাণ শিল্পের মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে এইচবিআরআই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব ও টেকসই আবাসন নির্মাণ কার্যক্রমেও এই প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে ।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে দেশজ নির্মাণ উপকরণ ও সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিপুল জনগোষ্ঠির জন্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৩ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করে।

১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লিখিত সংবিধান। সংবিধানের ১৫ নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক চাহিদা হিসেবে নাগরিকদের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারনের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও জাতির পিতা সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদে নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকরণের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার যুক্ত করেছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ৩.১০ নং অনুচ্ছেদে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন । প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর...

© All Rights Reserved© 2022 DainikBD24

Theme Customized BY Sky Host BD