শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল | ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Dainik Bangladesh - dainikbd24@gmail.com - facebook.com/Bangladesh24Official

রেলমন্ত্রীর কারণে টিএলআর শ্রমিকের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।মনিরুজ্জামান মনির

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

রেলমন্ত্রীর কারণে প্রায় ৭ হাজার টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।

আজ ১৯ অক্টোবর ২০২২ বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে মনিরুজ্জামান মনির বলেন,বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি বিশেষায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান। এটি সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত নয়। ইচ্ছা করলেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগ করে রেলওয়েকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব নয়। রেলওয়েতে অনেকেই দীর্ঘ ৮—১০ বছর ধরে টিএলআর হিসেবে চাকরি করে আসছেন। টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে চাকরি করে আসলেও তাদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় চাকরিচ্যুত হলে তারা অন্যকোন চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না। অথচ ০৩/০৫/২০০৩খ্রি. তারিখে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি আদেশ মপবি/কঃবিঃশাঃ/কপগ—১১/২০০১—১১১ এর ৫নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “বর্তমানে রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে সৃষ্ট পদ ৫ (পাঁচ) বছর এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত পদ ৩ (তিন) বছর পর স্থায়ী করার যে বিধান রয়েছে তা রহিত করে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে সৃষ্ট এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত উভয় ধরনের ৩ (তিন) বছর পর স্থায়ী করা যাবে।”

তিনি আরো বলেন,ইতোমধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি গত প্রায় ২০ বছর যাবত রেলওয়েতে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হাজার হাজার শ্রমিক এ আদেশের উপর ভিত্তি করে মহামান্য আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদের নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করেছেন। যে আদেশ দ্বারা আদালতের রায়ে রেলওয়ে কতৃর্পক্ষ অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ করছে,সেই সরকারি আদেশের পূর্ণবাস্তবায়ন করলে শ্রমিকদের আর আন্দোলন—সংগ্রাম বা আদালতের আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হয় না।অথচ আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসলেও আমাদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে উৎকোচ গ্রহণের উদ্দেশ্যে টিএলআর বাতিল করে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় বেকারত্বের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে চরম মানসিক অশান্তিতে টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকদের দিনযাপন করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন,নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এর মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিকদের চাকরি থেকে বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগে রেলপথ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উঠেপড়ে লেগেছে একটি চক্র। রেলওয়ের টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত শ্রমিকদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হলে রেলওয়ের সুষ্ঠু পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হবে। তারপরেও সরকারের অর্থবিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কিছু দুর্নীতিবাজ চক্র অসৎ লাভের আশায় টিএলআরদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। নিজেদের আখের গোছাতে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগে ইতিমধ্যে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি রেলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাত থেকে অসহায় টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকদের রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।