নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার প্রধান সমন্বয়কারী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চন্দন কুমার রায়কে অবশেষে সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন চন্দন কুমার রায়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। লিটন হত্যা মামলার রায়ে এই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশও জারি করা হয়েছিল।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘাতকের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তিনি ছিলেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য।
২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক।
রায়ে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়। তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা.আবদুল কাদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লিটনের আগে সংসদ সদস্য ছিলেন।অন্যান্যরা তার ঘনিষ্ঠ লোকজন।
তারা হলেন- ডা. কাদেরের একান্ত সহকারী মো. শামছুজ্জোহা,গাড়িচালক আবদুল হান্নান,গৃহকর্মী মেহেদি হাসান,দূর সম্পর্কের ভাগ্নে ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া,সাবেক পোশাকশ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম রানা ও চন্দন কুমার রায়।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।একজন কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান।অপর আসামি চন্দন কুমার রায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকায় র্যাবের হাতে ধরা পড়েএই মৃত্যুদণ্ডের আসামি।