মোঃ তোফাজ্জল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গত ১৭ আগস্ট মাক্তাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সানজিদা খাতুনের বেধড়ক পিটুনিতে ৫ম শ্রেণীর ২৭ জন
শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা করছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।
শিক্ষা অফিসের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রিপোর্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।জেলায় রিপোর্ট পাঠানোর পূর্ব থেকেই শিক্ষক নেতাদের মাধ্যমে জোর তদবির শুরু করেন ওই শিক্ষিকা।
অভিভাবকদের অভিযোগসূত্রে জানাগেছে,গত ১৭ আগস্ট ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সানজিদা খাতুন ৫ম শ্রেণীর ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রী ক্লাশের পড়া না
পারা ও বাড়ীর কাজ(হোম ওয়ার্ক) সঠিকভাবে সম্পন্ন না করার কারণে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বেত দিয়ে বেধড়ক পিটান।
অভিভাবকদের আরো অভিযোগ,শিক্ষিকার
বেধড়ক পিটুনিতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়ে অনেকে পরবর্তী ২/৩দিন স্কুলে যেতে পারেনি।এ বিষয়ে আমরা মর্মাহত।
অভিভাবকরা বিষয়টি গত ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার মৃনালকান্তি সরকারকে মৌখিকভাবে জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অভিযোগ শুনেই বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সহকারি শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল
ইসলামকে দায়িত্ব দেন।সহকারি শিক্ষা অফিসার ওই স্কুলে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।তিনি শিক্ষিকার মারধরের সত্যতা পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসরের নিকট বিষয়টি উপস্থাপণ করেন।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিক্ষক নেতাদের মাধ্যমে তার অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তদবির
শুরু করেন।কিন্তু অভিভাবকদের প্রবল আপত্তির মুখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মৃনালকান্তি সরকার গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত শিক্ষিকা কর্তৃক
শিক্ষার্থীদেরকে বেধড়ক পেটানোর রিপোর্টটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে মাক্তাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান,শিক্ষার্থীদেরকে মারপিটের ঘটনা সঠিক।ওই শিক্ষিকার সাথে মোবাইলে
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,শিক্ষার্থীদেরকে সামান্য মেরেছি।সহকারি শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলাম জানান,শিক্ষিকা কর্তৃক শিক্ষার্থীদেরকে মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তিনি শিক্ষা অফিসারের নিকট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মৃনালকান্তি সরকার বলেন,তদন্তে শিক্ষিকা কর্তৃক শিক্ষার্থীদেরকে মারধোরের তদন্ত রিপোর্ট জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পেরণ করা হয়েছে।