পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
পিরোজ পুরের নাজিরপুর উপজেলায় ষোলশত এলাকায় শহীদুল শেখ নামে এক যুবককে পেটানোর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,গত সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে আহত অবস্থায় মোঃ শহীদুল শেখ নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে নাজিরপুর থানা পুলিশ।আহত শহিদুল শেখ বাগের হাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের মৃত শাজাহান শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,শহিদুলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম থাকায় তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে নাজিরপুর থানার পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট)আহত শহিদুল কে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় উপজেলার ষোলশত গ্রামের নিজামুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ শহিদুল শেখের নামে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে মোঃ শহিদুল শেখের ভাই মোঃ রুহুল আমিন দাবী করেন তার ভাইকে অপহরণ করে এই চুরির ঘটনা সাজানো হয়েছে।তিনি বলেন,পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছ ধরা অবস্থায় আমার ভাইকে স্থানীয় বদিউজ্জামান,মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া,মাহাবুব ভুঁইয়া, বাসার শেখ,শরিফ ভুঁইয়া ও মাসুদ গাজী সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায় এবং বেধোরক মারধর করে।পরে একটি চুরির নাটক সাজিয়ে তাকে নাজিরপুর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আমার ভাইয়ের অবস্থা গুরুতর।ডাক্তারের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে গেছি। চিকিৎসা শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
এ বিষয়ে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন বলেন,শহিদুল শেখ কে আমি চিনি কিন্তু ঘটনাটি আমার এলাকায় না হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আমি জানিনা।
এদিকে নাজিরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন,শহিদুল শেখের নামে একটি ছুরি মামলা হয়েছে।আমরা তদন্ত করছি।তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে না।
মামলার বাদী বদিউজ্জামান ভূইয়া বলেন,শহিদুল শেখ আমার বাসায় চুরি করায় স্থানীয়রা তাকে মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে।