সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৩৩ Time View

আটঘরিয়া(পাবনা) প্রতিনিধিঃ

 

 

পাবনা সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে
ভাঁড়ারায় গৃহবধূ রুমানা পারভিনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় স্বামী মো. আব্দুল্লাহকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম দামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে।নিহত গৃহবধূ রুমানা পারভিন একই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

একইসঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,২০১৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ ও পারভিন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিলেন আব্দুল্লাহ। একাধিকবার টাকা দিলেও ঘটনার কয়েক দিন আগে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করেন তিনি।

টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে ঘরে থাকা বন্দুক দিয়ে রুমানাকে গুলি করে মেরে ফেলেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম ফরিদ উদ্দিন বলেন,‘রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

তবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

পাবনায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা

Update Time : ০৫:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

আটঘরিয়া(পাবনা) প্রতিনিধিঃ

 

 

পাবনা সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে
ভাঁড়ারায় গৃহবধূ রুমানা পারভিনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় স্বামী মো. আব্দুল্লাহকে ফাঁসি ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম দামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে।নিহত গৃহবধূ রুমানা পারভিন একই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

একইসঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,২০১৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ ও পারভিন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিলেন আব্দুল্লাহ। একাধিকবার টাকা দিলেও ঘটনার কয়েক দিন আগে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করেন তিনি।

টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর গভীর রাতে ঘরে থাকা বন্দুক দিয়ে রুমানাকে গুলি করে মেরে ফেলেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম ফরিদ উদ্দিন বলেন,‘রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

তবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।