সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার খোয়া যাওয়া সোয়া তিন কোটি টাকার রহস্য উন্মচন পিবিআই এর।গ্রেফতার এক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • ৩৪ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

ভাউচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখা থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার রহস্যের জট খুলেছে পিবিআই।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়। এসময় আসামি মো. আবু তাহেরকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়।

গত ৬ জুলাই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক জমা দেন। ওই টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা থাকলেও জমা হয় ঢাকার আল আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হিসাব নম্বরে। বিষয়টি কিছুদিন পর গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) অবহিত করে।

পিবিআই এর পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের একজন আদম ব্যাপারী। গাইবান্ধা শাখা থেকে সংশ্লিস্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের একটি ডিজিট পরিবর্তন করে অথবা ভুল করে আল আমির ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মো. আবু তাহেরের হিসাব নম্বরে জমা হয়। ওই হিসাব নম্বরটি চেক করে দেখা যায়, আবু তাহের ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা উত্তোলণ করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।

এ ব্যাপারে পিবিআই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম মো. আবু তাহেরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে।

গত মঙ্গলবার তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ১৫ লাখ টাকা আমির ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক হিসাবে জমা আছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারে ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তৎপরতা চালাচ্ছে পিবিআই।

প্রসঙ্গত, প্রায় একমাস আগে খোয়া যাওয়া সোয়া তিন কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম গোপনেই সমাধানের চেষ্টা করেন। সেটা করতে ব্যর্থ হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

গাইবান্ধায় নবাগত ও বিদায়ী পুলিশ সুপারের সংবর্ধনা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান

সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার খোয়া যাওয়া সোয়া তিন কোটি টাকার রহস্য উন্মচন পিবিআই এর।গ্রেফতার এক

Update Time : ০৭:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

ভাউচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখা থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার রহস্যের জট খুলেছে পিবিআই।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়। এসময় আসামি মো. আবু তাহেরকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়।

গত ৬ জুলাই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক জমা দেন। ওই টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা থাকলেও জমা হয় ঢাকার আল আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হিসাব নম্বরে। বিষয়টি কিছুদিন পর গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) অবহিত করে।

পিবিআই এর পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের একজন আদম ব্যাপারী। গাইবান্ধা শাখা থেকে সংশ্লিস্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের একটি ডিজিট পরিবর্তন করে অথবা ভুল করে আল আমির ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মো. আবু তাহেরের হিসাব নম্বরে জমা হয়। ওই হিসাব নম্বরটি চেক করে দেখা যায়, আবু তাহের ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা উত্তোলণ করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।

এ ব্যাপারে পিবিআই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম মো. আবু তাহেরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে।

গত মঙ্গলবার তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ১৫ লাখ টাকা আমির ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক হিসাবে জমা আছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারে ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তৎপরতা চালাচ্ছে পিবিআই।

প্রসঙ্গত, প্রায় একমাস আগে খোয়া যাওয়া সোয়া তিন কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম গোপনেই সমাধানের চেষ্টা করেন। সেটা করতে ব্যর্থ হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে।