স্টাফ রিপোর্টারঃ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA) কর্তৃক ৩য় নিয়োগচক্রে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) নবসৃষ্ট প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদ ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত (ব্যবসায় শিক্ষা, ভৌতবিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য) বিষয়ে নন-এমপিও পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে কর্মরত। প্রতিষ্ঠান প্রধানগন আমাদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলে উপজেলা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে এমপিও ফাইল অগ্রায়ন করলেও আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সুপারিশপত্রে নন-এমপিও লেখা আছে কারণ দেখিয়ে এমপিও আবেদন বাতিল করে দেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানগন বলেন আমরা যখন NTRCA তে শিক্ষক চাহিদা দিয়েছিলাম তখন উক্ত পদগুলো নন-এমপিও ছিল কারণ নবসৃষ্ট পদগুলোর তখনও অর্থবছর না আসার কারণে পদগুলোর এমপিও প্রাপ্যতা ছিল না। বর্তমানে অর্থবছর আসায় পদগুলোর এমপিও প্রাপ্যতা তৈরি হয়েছে এবং পদগুলো এমপিও যোগ্য পদ । এমপিও নীতিমালা ২০১৮ ও সংশোধিত এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১০ নং ধারায় উল্লেখ আছে..
“সরকার সময়ে সময়ে কোন বিষয়কে আবশ্যিক হিসেবে ঘোষণা করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে উক্ত বিষয়ে পদ সৃষ্টি হবে এবং উক্ত পদে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীগন এমপিও ভুক্ত হবেন।“। কিন্তু গত ৫ মাসেও এমপিও না হওয়ায় এমপিও ছাড়া বিনা বেতনে আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছি।
অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই আমাদের মতো নন-এমপিও সুপারিশ নিয়ে যারা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধিনে বিভিন্ন মাদ্রাসায় নিয়োগ পেয়েছেন তাদের এমপিওভুক্তিতে কোনরূপ সমস্যা হচ্ছে না এমনকি শত শত শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। তাছাড়া নন-এমপিও সুপারিশ নিয়ে মাওশি থেকেও অনেক শিক্ষকের এমপিও হয়েছে তার প্রমান আমাদের কাছে আছে। একই মন্ত্রনালয়ের অধিনে কোনো অধিদপ্তর এমপিও দেবে আবার কোনো অধিদপ্তর এমপিও দেবে না তা মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া আমরা সকলেই তো একই প্রতিষ্ঠান NTRCA থেকে সুপারিশকৃত।
পরিশেষে বলতে চাই যেহেতু আমাদের নিয়োগকৃত পদগুলো বিভিন্ন অর্থবছরে এমপিও প্রাপ্যতা তৈরি হয়েছে এখন অর্থবছর বিবেচনায় নিয়ে পদগুলোকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য সু-স্পষ্ট পরিপত্র জারির মাধ্যমে এমপিও জটিলতা নিরসন করা হোক।