লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) বেলা ৫ টায় পানি প্রবাহ ছিলো ৫২.৩২ সেঃ মিঃ । পানি বিপৎসীমার পরিমাপ হচ্ছে ৫২.৬০ মিটার । যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার এলাকার চর ও নিম্নাঞ্চলে মানুষের বাড়ি হতে পানি নেমে গেছে। তবে আবার যে কোন সময় পানিবন্দী হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার তিস্তা ব্যারাজে সকাল ৬ টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো । নদীর পানি বাড়ায় তিস্তা তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলে কয়েক শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, নদীর পানি কমায় আমাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুর্ভোগ এখনো কমে যায়নি। তবে গোটা এলাকা কাদাময় রয়েছে। আবার উজান হতে ধেয়ে আসা ভারতের পানি কখন সবকিছু ডুবিয়ে দেবে তা বলা মুশকিল।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, পানি কমেছে। তবে কতক্ষণ এ অবস্থা থাকে এটাই দেখার বিষয়। বৃষ্টির পানির চেয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানিই তিস্তা নদীর অবস্থার পরিবর্তন করে। তাই বর্ষা আসলেই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। কখন সবকিছু ডুবিয়ে নিয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্যারাজ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, তিস্তার পানি অনেক কমে এসেছে। আজ দুপুরে ২ টায় বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি সবসময়। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।