রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
সরকারি বিধবা ভাতা ও একটি টিনের ঘরের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আকুতি জানিয়েছেন রুনা লায়লা (৪০) নামে এক বিধবা নারী। তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর (গিড়িয়ার পাড়) গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
জানা যায়,এসএসসি পাসের পর ১৯৯৯ সালে রুনা লায়লার বিয়ে হয় বগুড়া জেলায়। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তার স্বামী মারা যান। তখন থেকেই নিঃসন্তান রুনালায়লা বাবার বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করছেন। মায়ের বয়স্ক ভাতা ও মামাদের একটু সহোযোগিতায় বর্তমানে তাদের কোনো রকমে দিন কাটছে।
দুই মাস আগে শিলাবৃষ্টিতে তাদের একমাত্র থাকার ঘরটিও ফুটো হয়ে যায়। ওই ঘরেই অতিকষ্টে রুনা লায়লা তার মাসহ কোনো রকমে বসবাস করছেন।
রুনা লায়লা বলেন, প্রায় দুই বছর আগে বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করেছি। উপজেলা সমাজসেবা অফিসেও কয়েকবার যোগাযোগ করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ভাতা হয়নি।
তিনি আরও জানান, আমার দুই ভাই তারাও গরীব। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাইয়েরা ঢাকায় থাকে। মাকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। এরইমধ্যে দুই মাস আগে শিলাবৃষ্টিতে ঘরের টিন ফুটো হয়ে যায়। এখন ঝড় বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ে। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
তিনি সরকারিভাবে সেলাই প্রশিক্ষণ,বিধবা ভাতা ও একটি টিনের ঘরের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আকুতি জানান।
বড়বিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ চৌধুরী দ্বীপ বলেন,স্বামী মারা যাওয়ার পর রুনা লায়লা তার মায়ের সাথে বসবাস করছেন। টিনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। বিধবা ভাতা ও টিনের ঘর পেলে তিনি উপকৃত হবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, রুনা লায়লা অনলাইনে আবেদন করেছেন কিনা তা জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।