স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিকট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বালু খেকো এরশাদের বিরুদ্ধে।
পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী ভূমি অফিসের প্রায় ১০০ গজ পশ্চিমে রাস্তা সংলগ্ন চিহ্নিত বালু ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া কর্তৃক শ্যালোমেশিন দিয়ে ভূমির গভীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে কাশিয়াবাড়ী ভূমি অফিসের পিছনে কাশিয়াবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র আহসান মিয়া তার নিজ পুকুর থেকে অত্র এলাকার চিহ্নিত বালু ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়ার শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
ভূমি অফিসের নিকট থেকে অবৈধভাবে ভূমির গভীর থেকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলন করায় জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রনজিৎ কুমারের সঠিক তৎপরোতা না থাকায় এলাকাবাসীর মাঝে নানা প্রশ্নেরও দেখা দিয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রনজিৎ কুমারের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান,আমি গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি বালু ব্যবসায়ী এরশাদকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এরপরেও যদি উত্তোলন করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূমির গভীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ব্যাপারে চিহ্নিত বালু ব্যবসায়ী এরশাদ বলেন,আমি ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলন করি।আপনাদের কি করার আছে করেন।
এলাকার অনেকেই বলেন,এরশাদ নদী,সরকারি খাস জমি,আবাদী জমি থেকে দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হবে না।অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।